জাতীয়

‘অবরোধের দিনে আম্মা বাস চালাইতে না করে’

‘সকালে বাস নিয়া বের হই ভয়ে ভয়ে। আমার পরিবারও আতঙ্কে থাকে। অবরোধে আম্মা বাস চালাইতে না করে। বাস না চালাইলে সংসার চালামু কীভাবে?’ কথাগুলো বলছিলেন বাসচালক আরিফ। বিএনপি ও সমমনাদের ডাকা তৃতীয় দফার অবরোধের শেষদিন বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় বাসে কথা হয় আরিফের সঙ্গে।

Advertisement

সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এক দফা দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে দফায় দফায় অবরোধ ঘোষণা করছে বিএনপি-সমমনারা। তৃতীয় দফার অবরোধের শেষদিন ছিল সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস। এদিন ঢিলেঢালা অবরোধে মোটামুটি স্বাভাবিক ছিল অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ঢাকার সড়কে পর্যাপ্ত গণপরিবহন ও যাত্রী চলাচলও মোটামুটি স্বাভাবিক।

আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে আসিয়ান পরিবহনের বাসে আগুন

সরেজমিনে রাজধানীর গুলিস্তান, শ্যামলী, মিরপুর ঘুরে দেখা যায়, তৃতীয় দফার অবরোধের শেষ দিনে যান চলাচল স্বাভাবিক। আগের থেকেও বেড়েছে যাত্রী সংখ্যা। তবে চালক-যাত্রী সবাই আতঙ্কগ্রস্ত।

Advertisement

বাসচালক সুরুজ আলী বলেন, ‘অনেক সতর্কভাবে বাসে যাত্রী ওঠাই। কেউ কিছু ছিটাচ্ছে নাকি খেয়াল রাখি। অবরোধে আমাদের রোজগার কমেছে। এ অবস্থায় বর্তমানে চলতে হিমশিম খাচ্ছি।’

আরও পড়ুন: শাহজাদপুরে রাইদা পরিবহনে আগুন

মিরপুর থেকে সদরঘাটগামী বাসের যাত্রী হিমা। অনেক ভিড়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি করেই উঠলেন বাসে। জাগো নিউজকে হিমা বলেন, ‘আগের মতো স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পারছি না। বাসা থেকে বার বার ফোন দিয়ে জিজ্ঞাস করে কোথায় আছি? নিজেও অনেক ভয়ে থাকি। মনে হয়ে এই বুঝি এ বাসেই আগুন দিয়ে দিলো!’

এ বিষয়ে ডেমরা পরিবহনের এমডি মো. হাসান জানান, তারা বাসচালকদের কোনো ধরনের ভয় না রেখেই বাস চালাতে বলছেন। এরপরও বাড়তি সতর্কতা হিসেবে বাসগুলো পাহারা দিতে দুজন অতিরিক্ত স্টাফ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যেন কেউ বাসে আগুন দিতে না পারে।

Advertisement

কেএসআর/জেআইএম