পেট্রোবাংলা এবং যুক্তরাষ্ট্রের এক্সেলরেট এনার্জির মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি ক্রয়-বিক্রয়, এমএলএনজি সম্প্রসারণ এবং পায়রা টার্ম শীট চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
Advertisement
বুধবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে পেট্টোবাংলার বোর্ড সচিব রুচিরা ইসলাম এবং যুক্তরাষ্ট্রের এক্সেলরেট এনার্জির এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট র্যামন ওয়াংদি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি অনুযায়ী এক্সেলরেট গ্যাস মার্কেটিং লিমিটেড পার্টনারশিপ হতে ১৫ বছর মেয়াদে ০.৮৫ হতে ১.০ এমটিপিএ এলএনজি আমদানি হবে। এছাড়াও ২০২৬ সাল হতে ইজিএমএলপি এলএনজি সরবরাহ করবে। এমএলএনজি টার্মিনাল এর সম্প্রসারনের ফলে ২০২৪ সালের জানুয়ারি হতে এর রি-গ্যাসিফিকেশন ক্ষমতা ৫০০ হতে ৬০০ এমএমসিএফডি হবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, বিগত ৩ বছরে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য বাংলাদেশকে শুধু জ্বালানি খাতেই অতিরিক্ত ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করতে হয়েছে। আমাদের অর্জনগুলো সুসংগঠিত করতে পারলে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করা সময়ের ব্যাপার মাত্র। জ্বালানির বহুমুখীকরণের উপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সৌর বিদ্যুৎ হতে ১১০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
Advertisement
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের যথাযথ বিকাশের জন্য আগামী ১০ বছরে ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। প্রযুক্তিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। বিশাল বিনিয়োগের সুযোগ হবে। গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধানে কাজেও ব্যাপক বিনিয়োগ আসবে। এক্ষেত্রে বিশ্বের বিখ্যাত কোম্পানিগুলোর আগ্রহ রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বিগত ১৫ বছরে বংলাদেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অগ্রগতি লক্ষণীয়। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগ সাফল্য দেখিয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। এখন সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্পন্ন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পৌঁছানই একটি চ্যালেঞ্জ। তিনি আরও বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য সরকার নিবেদিত হয়ে কাজ করছে।
উল্লেখ্য যে, দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা পূরণে এলএনজি আমদানি এবং রিগ্যাসিফিকেশনের মাধ্যমে ২০১৮ সালের আগষ্ট মাসে সর্বপ্রথম জাতীয় গ্যাস গ্রীডে গ্যাস সরবরাহ শুরু করা হয়। দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি সরবরাহে আগ্রহী প্রতিষ্ঠান হতে এলএনজি আমদানির লক্ষ্যে একটি মানসম্মত এসপিএ প্রস্তুত করা হয়।
এছাড়াও মহেশখালীতে এক্সিলরেট এনার্জি বাংলাদেশ লিমিটেড (ইইবিএল) সামিট অয়েল এবং শিপিং কোম্পানি লিমিটেড (এসওএসসিএল) কর্তৃক স্থাপিত প্রতিটি ৫০০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ ক্ষমতার ২টি এফএসআরইউ এর মাধ্যমে এলএনজি গ্রহণ ও আরএলএনজি সরবরাহের কাজ করা হচ্ছে।
Advertisement
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাস্ট্রদূত পিটার ডি হাস, পেট্টোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার।
এমএনএইচ/এসটি/এমএস