সিরাজগঞ্জে জীবিত ব্যক্তিকে মৃত্যুসনদ দেওয়ার অপরাধে হোসেন মো. সোহরাওয়ার্দী নামে এক ইউপি সচিবকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শাহজাদপুর উপজেলার সোনাতনী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন। এর আগে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
Advertisement
বুধবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে শাহজাদপুরে চৌকি আদালতের পেশকার আশরাফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে জানান, মঙ্গলবার দুপুরে শাহজাদপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন হোসেন মো. সোহরাওয়ার্দী। এতে শাহজাদপুরে চৌকি আদালতের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রব্বানী জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জানা যায়, ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা রহম আলীর ছেলে বাবু মিয়া একটি মাদক মামলায় কারাগারে রয়েছেন। এমন অবস্থায় গত ৪ অক্টোবর আদালতে বাবু মিয়ার ছোট ফুপু ডালিয়া খাতুন মৃত্যুবরণ করেছেন মর্মে তার দাফন কাফনের জন্য মাদক মামলার আসামি বাবুর জামিনের জন্য আবেদন করেন। পরে মৃত্যুসনদটিতে আদালতের সন্দেহ হওয়ায় পুলিশের ওপর তদন্তভার দেন আদালত।
পরে পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী ডালিয়া খাতুন জীবিত রয়েছেন। সনদটি ভুয়া বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। আদালত তদন্ত প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে ইউপি সচিব হোসেন মো. সোহরাওয়ার্দী ও মাদক মামলার আসামি বাবুর আত্মীয় আমজাদ হোসেনকে বিবাদী করে মামলা রুজু করেন। এ মামলার অপর আসামি আমজাদ হোসেন পলাতক রয়েছেন।
Advertisement
সোনাতনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ওই মৃত্যুসনদে আমি স্বাক্ষর করিনি। তবে সচিব যদি কোনো জালিয়াতি করে থাকে তাহলে সে তার অপরাধের শাস্তি পাবে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, কোনো জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখিয়ে সনদ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ওই ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এম এ মালেক/এফএ/জেআইএম
Advertisement