শিক্ষিত ইয়াহুদিদের মধ্যে যারা নেতৃস্থানীয় ছিল, তাদের কাজ ছিল তাওরাতে তথ্য বিভ্রান্তি করা, নিজ থেকে বানিয়ে গ্রন্থ রচনা করে আল্লাহর বাণী বলে চালিয়ে দেয়া। যাতে করে তাওরাতে বর্ণিত আল্লাহ তাআলার সঠিক বিবরণের সঙ্গে কুরআনের মিল খুঁজে পাওয়া না যায়। কারণ, তাওরাতে বিশ্ননবী রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আগমনের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উপাত্ত দেয়া ছিল। যে কারণে ইয়াহুদিদের ধর্মীয়গুরু তথা নেতৃস্থানীয়রা তাওরাতে ব্যাপকভাবে পরিবর্তন করতে থাকে। বিনিময়ে তারা অশিক্ষিত সাধারণ ইয়াহুদিদের নিকট থেকে অর্থ উপার্জন করতো। যা আল্লাহ তাআলা কুরআনে উল্লেখ করে তাদের ষড়যন্ত্রে দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন-‘অতএব তাদের জন্যে আফসোস! যারা নিজ হাতে গ্রন্থ লেখে এবং বলে, এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ-যাতে এর বিনিময়ে সামান্য অর্থ গ্রহণ করতে পারে। অতএব তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের হাতের লেখার জন্য এবং তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের উপার্জনের জন্যে।’ (সুরা বাক্বারা : আয়াত ৭৯)আলোচ্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের জন্য রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা। ইয়াহুদিদের অনুকরণ ও অনুসরণে মুসলমানরাও যেন নিজেদের স্বার্থে কুরআনের কোনো আয়াতের পরিবর্তন না করে। ইদানিং কালে একশ্রেণির জ্ঞাণপাপী এ বলে কুরআনের সংস্কার দাবি করছে যে, কুরআনের অনেক আয়াত মানুষের অধিকারের সঙ্গে অসামঞ্জস্য। (নাউজুবিল্লাহ) অথচ পৃথিবীতে মানবাধিকার সুরক্ষায় কুরআন হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ জীবন বিধান।একশ্রেণির ধর্ম ব্যবসায়ী কুরআনকে তাবিজ ও তদবিরের কিতাবে পরিণত করে অহরহ অর্থ উপার্জন করে চলছে। যা মারাত্মক গোনাহের কাজ। কারণ কুরআনকে মানুষের তাজিব ও তদবিরের জন্য দেয়া হয়নি। দেয়া হয়েছে মানুষের জীবন পরিচালনার সংবিধান হিসেবে।পক্ষান্তরে যারা কুরআন অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করবে, কুরআনের উপর আমল করবে। তাঁরা যদি কোনো সমস্যায় আল্লাহর দরবারে কোনো কিছু কামনা করে তা আল্লাহ তাআলা কবুল করবেন। যা আল্লাহ তাআলার ওয়াদা।সুতরাং আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআনের পরিবর্তন-পরিবর্ধন, সংযোজন-বিয়োজন থেকে হিফাজত করুন। কুরআন বিক্রি করে অর্থ উপর্জন থেকে হিফাজত করুন। সর্বোপরি কুরআন ও সুন্নাহ মোতাবেক ইসলামি জীবন যাপন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/এমএস
Advertisement