তথ্যপ্রযুক্তি

শিক্ষিত বেকারদের আশার আলো ফ্রিল্যান্সিং

ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিংকে একসময় অনেকে তাচ্ছিল্য করতেন। তবে সময় যত পেড়িয়েছে; ততই বিকশিত হচ্ছে এ পেশা। একসময় বড় শহরগুলোয় ফ্রিল্যান্সিং বেশি দেখা যেত। তবে এখন ধারণা বদলেছে মানুষের। বর্তমানে ছোট-ছোট শহর এমনকি গ্রাম-গঞ্জেও ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে শিক্ষিত বেকার যুবকরা এ পেশায় যুক্ত হচ্ছেন। পাশপাশি বয়স্করাও অন্য কাজের পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

Advertisement

ফ্রিল্যান্সিংয়ে যারা কাজ করছেন, তারা অধিকাংশ শিক্ষিত বেকার। পাশাপাশি বয়স্করাও যুক্ত হচ্ছেন এ পেশায়। তরুণরা চাকরির পেছনে না ছুটে বা চাকরি না পেয়ে এ পেশায় যুক্ত হচ্ছেন। সাধারণ কোনো চাকরি করলে যা বেতন পাওয়া যায়, এখানে তার চেয়ে মাসে বেশি আয় করছেন তারা। এতে নিজের বেকারত্ব দূর, দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার পাশাপাশি পরিবারের স্বচ্ছলতা আনছেন। সঠিক প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় সহায়তা পেলে জেলার ফ্রিল্যান্সাররা এ খাতকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।

আরও পড়ুন: ইউটিউবের ভিডিওতে কপিরাইট স্ট্রাইক এলে যা করবেন

সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রজেক্টের আওতায় বিভিন্ন জেলায় ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ভালো করায় কয়েকজনকে ল্যাপটপ উপহার দেওয়া হয়। কাজ শিখে তারা অনেকেই অনলাইন থেকে আয় করতে শুরু করেন।

Advertisement

ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের বিভিন্ন ধাপ আছে। যেমন- ওয়েব ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডাটা এন্ট্রি, ওয়েব ডিজাইন, এসইও, ইউটিউব মার্কেটিং, ফেসবুক মার্কেটিং, ই-মেইল মার্কেটিং ইত্যাদি। আগে নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ের ওপর কাজ শিখতে হয়, তারপর মার্কেটপ্লেসে নিজের অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হয়। বর্তমান মার্কেটপ্লেসের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আপওয়ার্ক, ফাইবার, ফ্রিল্যান্সার, গুরু ইত্যাদি।

এসব মার্কেটে অ্যাকাউন্ট করার পর নির্দিষ্ট ক্যাটাগরিতে কাজের জন্য বিড করতে হয়। এরপর বায়ার নির্ধারিত কোনো মূল্যে সে কাজটি ফ্রিল্যান্সারকে দেয়। কাজ শেষে আবার সেটি বায়ারকে বুঝিয়ে দিতে হয়। তখন বায়ার মার্কেটপ্লেসের অ্যাকাউন্টে কাজের মূল্য হিসেবে ডলার পরিশোধ করে দেয়। এরপর সেখান থেকে ডলার ব্যাংকে ট্রান্সফার করলে টাকায় রূপান্তর হয়।

 

এসইউ/এমএস

Advertisement