রাজধানীর আগারগাঁও সংলগ্ন চন্দ্রিমা উদ্যান যেন পাখির অভয়ারণ্য। সেখানে গাছের ডালে, আকাশ জুড়ে পাখির সমাগম। হরেক রং ও প্রকৃতির পাখিগুলো সবাইকে মুগ্ধ করে। কিছু পাখির নাম জানা, বাকি সব অজানা প্রজাতির। এ যেন এক পাখির রাজ্য।
Advertisement
৭৪ একর বনভূমির পাম গাছ, ঝাউ গাছ, আকাশিয়া গাছ, আম গাছ, কাঁঠাল গাছ, বকুল গাছ, জারুল, কৃষ্ণচূড়া, হরিতকী, নিম, মেহগনি , কড়ইসহ আশপাশের যে কোনো গাছের মগডালে তাকালে সেখানেই পাখি বসে আছে না হয় উড়ছে, শব্দ করে ডাকছে।
আরও পড়ুন: সোনার চেয়েও যে কারণে দামি হাতির দাঁত
সবুজ পাতার ফাঁকে, ডালপালায় দিন-রাত সব সময়ই কিচিরমিচির শব্দে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেয় উড়তে পারা প্রানিগুলো। তাদের কলকাকলি ধ্বনিতে মুখরিত থাকে পার্কটি।
Advertisement
উদ্যানটির ভেতরে ঢুকে চারদিকে একটু লক্ষ্য করলেই চোখে পড়বে দোয়েল, চড়ই, ময়না , টিয়া, শালিকসহ নানা দেশি প্রজাতির পাখি। চন্দ্রিমায় থাকা শত গাছের ভিড়ে বাসা বেঁধেছে ময়না , টিয়ারা। যা সকাল-বিকাল হাঁটতে আসা মানুষদের মুগ্ধ করছে প্রতিনিয়ত।
ভোরের আলো ফুটতেই তাদের জীবিকার ব্যস্ততা। মা পাখিরা খাবারের সন্ধানে বেড় হয়, আবার সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে ফিরে আসে। সন্ধ্যার দিকে আকাশে ও গাছগুলোর দিকে তাকালে মনে হবে শাখা-প্রশাখাজুড়ে বাতাসে দুলতে থাকা ফুল।
আরও পড়ুন: একপাশে মেঘালয়ের পাহাড়, অন্যপাশে শাপলার রাজ্য
ওদের নড়াচড়া আর ডাকাডাকিতে হুঁশ ফিরবে ফুল নয়, রং-বেরঙের পাখি। কেউ বিরক্ত না করায় এটি এখন তাদের নিরাপদ আশ্রয় । তাই নির্বিঘ্নে ডিম পেড়ে তা
Advertisement
পূর্ব ও পশ্চিম পাশে আছে দুটি নান্দনিক জলাধার। ক্রিসেন্ট লেক এর মধ্যে বিখ্যাত। জলাশয়ে নেমে শিকারি পাখি মাছ ধরে উড়ে বসছে গাছের মগডালে।
আরও পড়ুন: যে ৫ দেশে পৌঁছাতে পারে না প্লেন
সবমিলে পাখির আকাশে ভেসে বেড়ানোর দৃশ্য, মা পাখির বাচ্চাকে খাওয়ানো আর বাবা পাখির পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব- এসব দৃশ্য সত্যিই মনোমুগ্ধকর। আর এই উদ্যান ঘুরতে আসা পর্যটকরাও পাখির জীবনযাপনের এসব বিষয় দেখে মুগ্ধ হন।
চন্দ্রিমা উদ্যান রাজধানীবাসীর জন্য প্রকৃতির সান্নিধ্যে হলেও পাখিদের জন্য এটি তাদের বিচরণ ভূমি। যুগের পর যুগ থেকেই চন্দ্রিমা উদ্যান পাখিদের তার বুকে আগলে রেখেছে। তাই এই উদ্যানকে পাখির স্বর্গরাজ্য বললেও ভুল হবে না!
জেএমএস/জেআইএম