টানা অবরোধে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়ির পেঁপে চাষিরা। সরবরাহ করতে না পারায় অর্ধেক মূল্যে পেঁপে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। আবার বাগানেই নষ্ট হচ্ছে পেঁপে। এমনটাই জানিয়েছেন চাষিরা। অন্যদিকে নির্বিঘ্নে কৃষিপণ্য পরিবহনে প্রশাসনের সহায়তা চেয়েছে কৃষি বিভাগ।
Advertisement
কৃষি বিভাগের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উন্নত জাতের পেঁপে উৎপাদনকারী জেলা খাগড়াছড়িতে চলতি মৌসুমে ৫৭১ হেক্টর জমিতে পেঁপে চাষ হয়েছে। চলতি মৌসুমে পেঁপের উৎপাদন ভালো হলেও অবরোধের কারণে যান চলাচল বন্ধ থাকায় বাজারজাত করতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা।
স্বাভাবিক সময়ে ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে পেঁপে বিক্রি হলেও এখন ২০-২৫ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। আবার অনেক বাগান মালিক পেঁপে বাজারজাত করতে না পারায় তা বাগানেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পাহাড়ে আবাদ করা পেঁপে ঢাকা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও কুমিল্লা সরবরাহ করার কথা জানিয়ে দীঘিনালার পেঁপে চাষি আব্দুল করিম বলেন, ‘টানা অবরোধের কারণে পেঁপে পাঠানো যাচ্ছে না। ফলে বাগানেই নষ্ট হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: নড়াইলে ইটভাটা ভেঙে ড্রাগন চাষে সফল ৬ ভাই
Advertisement
অপরদিকে গুইমারা বাইল্যাছড়ির পেঁপে চাষি অমল বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, ‘আগে ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি করলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকা দরে। এতে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছি। তাই কাঁচামাল পরিবহন অবরোধের আওতামুক্ত রাখার দাবি জানাই।’
অবরোধের কারণে পেঁপে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ। চাষিরা যাতে নির্বিঘ্নে পেঁপে বিক্রি করতে পারেন, সেজন্য প্রশাসনের সহায়তা চেয়ে খাগড়াছড়ি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কিশোর কুমার মজুমদার বলেন, ‘কৃষক যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তা খুব চিন্তার। ৪০-৫০ টাকার পেঁপে ২০-২৫ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। দ্রুত পচনশীল এ পণ্য পরিবহনে প্রশাসন সহায়তা করলে চাষিরা ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন।’
নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের কথা জানিয়ে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, ‘সাপ্লাই চেইন যেন বিঘ্নিত না হয়, সেজন্য প্রশাসন বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করে যাচ্ছে।’
মুজিবুর রহমান ভুইয়া/এসইউ/জেআইএম
Advertisement