আর কয়েক মাস পরেই ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেয়াদ শেষ হচ্ছে ভলোদিমির জেলেনস্কির। কিন্তু এরপরও ক্ষমতায় থাকতে পারেন তিনি। কারণ, দেশটিতে সামরিক আইন জারি থাকায় আপাতত নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থেকে ছাড় পাচ্ছেন জেলেনস্কি।
Advertisement
নিয়ম অনুযায়ী, ইউক্রেনে ২০২৪ সালের বসন্তের (মার্চ থেকে মে) মধ্যে প্রেসিডেন্টসহ সব ধরনের নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গোটা দৃশ্যপট বদলে দিয়েছে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট বলেছেন, নির্বাচনের জন্য এটি সঠিক সময় নয় বলে বিশ্বাস করেন তিনি।
আরও পড়ুন>> ইসরায়েলের জন্য মন কাঁদছে জেলেনস্কির
সোমবার (৬ নভেম্বর) দৈনিক ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, এখন প্রতিরক্ষার সময়, যুদ্ধের সময়- যার ওপর রাষ্ট্র ও জনগণের ভাগ্য নির্ভর করছে।
Advertisement
তিনি বলেন, এখন দেশের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময়, বিভক্ত হওয়ার নয়। আমার বিশ্বাস, এটি নির্বাচনের জন্য সঠিক সময় নয়।
এর আগে গত সপ্তাহে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের কারণে আগামী বছর নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব হবে কি না, তা যাচাই করছেন জেলেনস্কি। বিপুল সংখ্যক ইউক্রেনীয় নাগরিক বিদেশে এবং সৈন্যরা রণক্ষেত্রে থাকায় ভোটগ্রহণ কঠিন হতে পারে বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন>> ইসরায়েল-হামাস সংঘাতে রাশিয়ার লাভ, দুশ্চিন্তায় ইউক্রেন
গত মাসে ইউক্রেনে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ছিল। কিন্তু যুদ্ধের কারণে সেটিও বাতিল করা হয়েছে।
Advertisement
২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন একসময়ের কৌতুক অভিনেতা ভলোদিমির জেলেনস্কি। গত সেপ্টেম্বরে তিনি বলেছিলেন, জরুরি হলে নির্বাচন দিতে প্রস্তুত এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের ভোট পর্যবেক্ষণের অনুমতিও দেবেন।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় আক্রমণ শুরুর পর নিজ দেশে জেলেনস্কির জনসমর্থনের রেটিং আকাশচুম্বী হয়েছিল। কিন্তু দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনের ভগ্নদশা ঠিকই রয়ে গেছে।
আরও পড়ুন>> পোল্যান্ডের সঙ্গে ইউক্রেনের দ্বন্দ্ব চরমে, বন্ধ হলো অস্ত্র সহায়তা
ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের সাবেক সহযোগী ওলেক্সি আরেস্টোভিচ এ সপ্তাহে ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি তার সাবেক বসের বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়বেন। ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণে ধীরগতির জন্য জেলেনস্কির তীব্র সমালোচনা করেছেন তিনি।
সূত্র: এএফপি, এনডিটিভিকেএএ/