দেশজুড়ে

পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি সরাতে মাঠে প্রশাসন

বর্ষায় পাহাড় ধসে মৃত্যু ঝুঁকি এড়াতে আগে ভাগে মাঠে নেমেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। কলাতলীর সুগন্ধা পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২০টি অবৈধ ঝুঁপড়ি ঘর উচ্ছেদ করা হয়। এর আগে কলাতলী সৈকত পাড়া এলাকায় সরকারি পাহাড় কেটে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগে আরো ৩০টি ঝুঁকিপূর্ণ ঘর উচ্ছেদ করা হয়। মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কক্সবাজার সদর (ভূমি) কমিশনার মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে এই অভিযান চলে। উচ্ছেদকৃত ঘরের বাঁশের খুঁটি ও টিন আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়। ইতিমধ্যে অভিযানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৪০ শতক জায়গা দখল মুক্ত করা হয়েছে। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম, পরিবেশ অধিদফতর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম, ৩৩ আনসার ব্যাটালিয়ানের কমান্ডার মুফিজুর রহমান ও সদর থানার এসআই রাজীব কান্তি নাথ। কক্সবাজার সদর (ভূমি) কমিশনার মাজহারুল ইসলাম জানান, কক্সবাজারে পাহাড় কেটে বসবাস ক্রমে বাড়ছে। এ কারণে বর্ষায় কোন না কোন স্থানে পাহাড় ধসে নিহতের ঘটনা ঘটছে। বৈশাখ মাস দরজায় কড়া নাড়ছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার বৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে বর্ষায় অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঘটনা এড়াতে পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ বাস সরাতে আগে ভাগে মাঠে নেমেছে প্রশাসন। অভিযান চালিয়ে চালিয়ে অবৈধভাবে নির্মাণ করা প্রায় ২০টি ঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে। এর আগে সৈকত পাড়া এলাকায় সরকারি পাহাড় কেটে ঘর নির্মাণ করায় ৩০টি ঘর উচ্ছেদ করা হয়। এসময় কলাতলী সুগন্ধা পয়েন্টে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৪০ শতক জমিও জবর দখল মুক্ত করা হয়েছে।  পরিবেশ অধিদফতর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম জানান, উচ্ছেদকৃত ঘরের টিন ও বাঁশের র্খুঁটি আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়। জব্দ করা হয়েছে বৈদ্যুতিক তারও। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরে যেতে নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। এমনকি চার অভিযোগে শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।  এদিকে, কলাতলী ছাড়াও, শহরের ঘোনার পাড়া, বৈদ্যঘোনা, পাহাড়তলী, লাইট হাউজ, হালিমা পাড়া, বাস টার্মিনালস্থ লারপাড়া, ডিককুল, সদর উপজেলা পরিষদের পিছনে, বিজিবি ক্যাম্পের পশ্চিম পাশে ও সাহিত্যিকা পল্লী এলাকায় চলছে পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণ। এসব স্থানে প্রশাসন বেশ কয়েকবার উচ্ছেদ অভিযান চালালেও থেমে নেই পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণ। এআরএ/পিআর

Advertisement