বিএনপির গত ২৮ অক্টোবরের সমাবেশ ঘিরে সহিংসতা এবং পরবর্তী সময়ে হরতাল-অবরোধে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির দায়ে ২৬ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
Advertisement
সোমবার (৬ নভেম্বর) দিনভর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জাগো নিউজকে জানান, সম্প্রতি রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দুষ্কৃতকারী ও স্বার্থান্বেষী মহল হামলা ও নাশকতার মাধ্যমে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি জানান, গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর কাকরাইল, পল্টন, ফকিরাপুল ও মতিঝিলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালানো হয়। এছাড়া গণপরিবহন, ব্যক্তিগত পরিবহন ও সরকারি বিভিন্ন যানবাহনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালানো হয়।
Advertisement
পরদিন ২৯ অক্টোবর বিএনপির হরতাল এবং এর পর দফায় দফায় অবরোধ কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মহাসড়কে অগ্নিসংযোগ, গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত পরিবহন ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন নাশকতার ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, সোমবার (৬ নভেম্বর) র্যাব ফোর্সেস দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতা ও সহিংসতার ঘটনায় কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা এলাকা থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য ও স্থানীয় ক্যাডার অলি হোসেন, গাজীপুরের শ্রীপুরের জৈনা বাজার এলাকা থেকে শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আমিনুল ও সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার স্থানীয় ইউপি সদস্য ও সাবেক ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক দুলালকে গ্রেফতার করা হয়।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জ থেকে ৩ জন, গাজীপুর থেকে ১ জন, মানিকগঞ্জ থেকে ১ জন, রাজশাহী থেকে ১ জন, যশোর থেকে ৮ জন, ফরিদপুর থেকে ১ জন, ময়মনসিংহ থেকে ১ জন, কক্সবাজার থেকে ২ জনসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার মামলায় মোট ২৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।
Advertisement
টিটি/এমকেআর/এমএস