কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় সোহাগী জাহান তণু নামে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা বলেছে, সেনানিবাস এলাকায় ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা উদ্বেগ জনক। এ ঘটনার সাত দিন পারও তদন্তে বিশেষ কোনো অগ্রগতি নেই। অতীতে দেখা গেছে বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা অপরাধীদের আরও উৎসাহিত করে। তাই অবিলম্বে প্রকৃত হত্যাকারীদের বের করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির বিধান নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার কমিউনিকেশন অফিসার ফাতেমা ইয়াসমিনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থার চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সিগমা হুদা বলেন, পারিবারিক, সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ই ধর্ষণ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। তাছাড়া প্রলম্বিত বিচার ব্যবস্থা, বিদেশি অপসংস্কৃতি অনুকরণ, তথ্য-প্রযুক্তির অপব্যবহার ইত্যাদি কারণেও এই ঘটনাগুলো দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এই অবস্থা নিরসনের জন্য সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি অপরাধীদের দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। মানবাধিকার ও সামাজিক সংগঠনগুলোকে এক হয়ে গণসচেতনতামূলক কার্যক্রম হাতে নিতে হবে। মানুষের নৈতিক মূল্যবোধের চর্চা শুরু হয় পরিবার থেকে তাই শিশুর জন্য ভাল পরিবেশ নিশ্চিত করতে পরিবারগুলোকে আরোও সচেতন হতে হবে।মানবাধিকা সংগঠনের এক জরিপে উল্লেখ করা হয়, চলতি মার্চ মাসে এই পর্যন্ত ২১ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এদের মধ্যে নারী ৯ জন ও ৭ জন শিশু। ১ মার্চ নীলফামারীতে নবম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৪ জনকে। ধর্ষণের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে চট্টগ্রাম বিভাগে। মার্চে ঢাকা বিভাগে শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটে ৪টি। দুটি ঢাকার দোহার ও কমরাঙ্গীচরে, বাকি দুটি শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটে কিশোরগঞ্জ ও নারায়নগঞ্জে। ধর্ষণের পর হত্যার আরো ঘটনা ঘটে রংপুর, খুলনা, ঢাকা ও চট্টগ্রামে।এফএইচ/একে/এবিএস
Advertisement