কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তে জনগণের সহায়তা চেয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার পুলিশ সদর দফতরের অ্যাডিশনাল ডিআইজি মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এই সহায়তা চাওয়া হয়। বর্তায় বলা হয়, তনু হত্যার বিচারের দাবিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিবর্গের আন্দোলন পুলিশ সদর দফতরের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। পুলিশ সদর দফতর মানুষের ওই অনুভূতি ও দাবিকে যথাযথভাবে সম্মান করে। ঘটনার গুরুত্ব অনুধাবন করে বিশেষজ্ঞ ইউনিট সিআইডিকে এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তের ভার দেয়া হয়েছে। সাথে জেলা পুলিশ এবং গোয়েন্দা পুলিশও কাজ করছে।তনু হত্যাকাণ্ড প্রকাশ্যে ঘটেনি। তাই সুস্পষ্ট এবং সুনির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সাক্ষ্য সংগ্রহ করা সময় সাপেক্ষ বিষয়। নানা বস্তুগত সাক্ষ্য, পারিপাশ্বিক সাক্ষ্য বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সংগ্রহ করা, বিশ্লেষণ এবং মূল্যায়নের মাধ্যমে এ ধরণের ক্লুলেস অপরাধে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়। অনুমানের ভিত্তিতে কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করলে সেক্ষেত্রে ভুল হবার সম্ভবনা থেকে যায়। তদন্তে ভুল হলে সবার কাছেই তা প্রশ্লবিদ্ধ হয়। এমনকি প্রকৃত দায়ী ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গ সেই ভুলের দিকে আঙ্গুল তুলে নানা সুযোগ গ্রহণ করতে পারে। এতে মামলাটির ন্যায়বিচার ব্যাহত হবার আশংকা থেকে যায়। সেজন্য সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে প্রকৃত আসামি চিহ্নিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।বার্তায় আরো বলা হয়, তনু হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত আসামিকে চিহ্নিত করেই তাকে গ্রেফতার করার ব্যাপারে আমরা প্রত্যয়ী। তবে এটা অবশ্যই সময় সাপেক্ষ। তনু হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনেও আমরা বদ্ধপরিকর। যারা এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের দাবি জানাচ্ছেন- তাদের দাবির প্রতিও আমাদের শ্রদ্ধা রয়েছে। তবে সেজন্য রাস্তা ঘাটে প্রতিবদ্ধকতা সৃষ্টি হলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়ে। পুলিশের অপরাধ দমন এবং উদঘাটনের পেশাগত দায়িত্বও বাধাগ্রস্ত হয়। কোন হত্যাকাণ্ডের জড়িত আসামিদের গ্রেফতারের জন্য কোন আন্দোলন বা বিক্ষোভের প্রয়োজন নেই।এটা পুলিশের পেশাগত ও নৈতিক দায়িত্ব। এ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। সেজন্য আমরা সকলের কাছে তনু হত্যাকাণ্ডের যথাযথ তদন্তের জন্য অনুকূল সহযোগিতা প্রত্যাশা করি। এক্ষেত্রে সমব্যাথী সকলকে ধৈর্য ধরে পুলিশি তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয় এই বর্তায়। জেইউ/এসকেডি/পিআর
Advertisement