রাজনীতি

সরকারের সরবরাহ ব্যবস্থায় ত্রুটি থাকায় দ্রব্যমূল্য কমছে না

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে যুদ্ধ পরিস্থিতিকে দায়ী করা গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি- বাংলাদেশ ন্যাপ। একই সঙ্গে সরকারের সরবরাহ ব্যবস্থায় ত্রুটি থাকায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না বলে মনে করে দলটি।

Advertisement

রোববার (৫ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এমন দাবি করেন।

তারা বলেন, অসৎ ও লুটেরা ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে জনগণের জীবন দুর্বিষহ করে তুলছে। যেসব পণ্যের মূল্য প্রতিমুহূর্তে বাড়ছে, সেসব পণ্যের সংকট নেই এটা ব্যবসায়ীদের মুখ থেকেই বেরিয়ে আসছে। একটা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি করে লুটেরারা দেশটাকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে।

বাংলাদেশ ন্যাপের নেতারা বলেন, যারা পণ্য মজুত ও কৃত্রিম সংকট তৈরির সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে না পারলে জনজীবন আরও বেশি দুর্বিসহ হয়ে উঠবে। আর এখনই যদি মূল্য নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থা নেওয়া না হয় তবে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়বে।

Advertisement

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের বর্তমান পরিস্থিতি মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে অভিমত প্রকাশ করে তারা আরও বলেন, সরকারের কেউ কেউ বলছেন কারসাজি করে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সরকার এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। বরং অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, দ্রব্যমূল্য যে পর্যায়ে পৌঁছেছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে অন্যের ওপর দায় চাপানোর মাধ্যমে পরিস্থিতি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে সরকার।

তারা বলেন, দ্রব্যমূল্য যে পর্যায়ে পৌঁছেছে তাতে মানুষকে বাঁচাতে হলে পূর্ণ রেশনিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। যুদ্ধ পরিস্থিতির যে কথা বলা হচ্ছে এটা গ্রহণযোগ্য নয়। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না, সরকারের সরবরাহ ব্যবস্থায়ও ত্রুটি আছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ে উপহাস করা হচ্ছে, অন্যের ওপর দায় চাপানো হচ্ছে। অতীতেও এ ধরনের অজুহাত দেখেছে দেশবাসী। এ অবস্থা চলতে থাকলে শ্রমজীবী মানুষ তো বটেই, মধ্যবিত্তও বাঁচতে পারবে না।

বাংলাদেশ ন্যাপের নেতারা আরও বলেন, আমাদের দেশে কিছুদিন পর পরই এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়। সরকারের এখন দ্রুত রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে, এই রেশনিং ব্যবস্থা স্টান্ডবাই রাখতে হবে। নিত্য প্রয়োজনীয় যে জিনিসগুলো আছে তার ম্যূবৃদ্ধি হলেই রেশনিং পুনরায় চালু করতে হবে, যাতে মানুষের সমস্যা না হয়। সরকার বলছে কারসাজি হয়েছে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যারা দুর্নীতিবাজ, মুনাফাখোর, যারা কারসাজি করে তাদের সরকার গ্রেফতার করতে পারে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা তো নেওয়া হচ্ছে না? ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণে তারা সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। এ ব্যাপারে সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।

কেএইচ/কেএসআর/জিকেএস

Advertisement