তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দ্বিতীয় দফায় আজ রোববার (৫ নভেম্বর) ও আগামীকাল অবরোধ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত। এর মধ্যে আজ সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে অফিসগামীদের ভিড় দেখা গেছে। শিক্ষার্থীরাও ছুটছেন স্কুল-কলেজে।
Advertisement
তবে অবরোধের কারণে সড়কে গণপরিবহন কিছুটা কম থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। এছাড়া হরতাল-অবরোধের নামে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় আতঙ্কে আছেন তারা। যাত্রীদের অভিযোগ, হরতাল-অবরোধে বাসা থেকে বের হওয়া ঝুঁকি। বিভিন্ন জায়গায় যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। বহু যাত্রী আহত হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: অবরোধে যানবাহন চলাচল বেড়েছে, আছে যাত্রী উপস্থিতিও
সকাল ৮টায় মিরপুর থেকে বাসে মহাখালী আসেন সৈয়দ আরেফিন। তিনি মহাখালী ডিওএইচএসে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরি করেন। তিনি বলেন, সকাল ৯টা থেকে তার অফিস। যতই হরতাল-অবরোধ হোক, সময়মতো অফিসে উপস্থিত হতে হবে। অবরোধে ঝুঁকি নিয়েই অফিসে যাওয়া লাগে, না গেলে চাকরি থাকবে না।
Advertisement
বনানীর চেয়ারম্যানবাড়ি এলাকায় মতিঝিলগামী বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন আবু সাঈদ। তিনি বলেন, এসব হরতাল-অবরোধ নিয়ে আমাদের কাজ নেই। চাকরি না করলে পেটে ভাত জুটবে না। এ দেশে যারা রাজনীতি করে তারা জনগণের কথা ভাবে না। ভাবলে আজ আলুর কেজি ৭০ টাকা, পেঁয়াজ ১২০ টাকা হতো না। তারা ক্ষমতায় গিয়ে শুধু লুটপাট করবে। জনগণকে পিষে মারবে।
আরও পড়ুন: ১২ ঘণ্টায় সারাদেশে ১২ জায়গায় আগুন
গাজীপুর থেকে সদরঘাট রুটে সবচেয়ে বেশি যাত্রী যাতায়াত করেন আজমেরী পরিবহনে। রোববার সকাল ৮টায় আমতলী এলাকায় আজমেরী বাসের চালক নূরে আলমের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের দ্বিতীয় দফার কর্মসূচিতে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন মালিক সমিতির লোকজন। তাই ঝুঁকি নিয়েই গাড়ি চালাতে হচ্ছে। কখন যে অবরোধকারীরা বাসে হামলা চালায় বা আগুন দেয়, এ আতঙ্কে আছি। তবে স্বাভাবিক সময়ের মতোই মানুষ বাসা থেকে বের হচ্ছেন। গণপরিবহনে করে নিজ গন্তব্যে যাচ্ছেন।
সকাল সাড়ে ৮টায় মহাখালীর আমতলী থেকে নাবিস্কো পর্যন্ত সড়কে যানজট দেখা গেছে। মহাখালী বাস টার্মিনাল এলাকায় আড়াআড়িভাবে দূরপাল্লার বাস রাখায় এই যানজট লেগেছে।
Advertisement
এমএমএ/এসটি/এমএস