‘আমরা হরতাল-অবরোধেও গাড়ি নিয়ে বাইর হই। সকাল বেলা গাড়ি কম থাকলে আমগো গাড়ি ভরাই থাকে। কিন্তু অনেক সময় তো যাত্রীও থাকে না। আজকেও যাত্রী কম। এতো ঝামেলার মধ্যেও গাড়ি নিয়া বাইর হইয়া যদি যাত্রীই না পাই তাইলে লাভ কী? আর খালি গাড়িতে আগুন দেয়, আন্দোলন করে হ্যারা ভেজাল আমাগো।’
Advertisement
দ্বিতীয় দফায় অবরোধের প্রথমদিন আজ, রোববার গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামার পর জাগো নিউজকে বলছিলেন বাস হেলপার সজীব।
আরও পড়ুন: ১২ ঘণ্টায় সারাদেশে ১২ জায়গায় আগুন
বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলো দ্বিতীয় দফায় অবরোধের ডাক দিয়েছে। এবার তারা রোববার (৫ নভেম্বর) থেকে টানা ৪৮ ঘণ্টা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে।
Advertisement
অবরোধের আগের দিন শনিবার সন্ধ্যা থেকে বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। তবে আজ সকাল থেকে যানবাহন চলাচল আগের তুলনায় বেড়েছে। একই সঙ্গে যাত্রী উপস্থিতিও লক্ষ্য করা গেছে বিভিন্ন পয়েন্টে।
রোববার (৫ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর সাইনবোর্ড, রায়েরবাগ, শনির আখড়া, কাজলাসহ আশপাশের এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি ও সমমনাদের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু
সরকারি ছুটি শুক্র ও শনিবারের পর আজ সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস। অন্যান্য সময় এই দিনে সকাল থেকেই গাড়ির বাড়তি চাপ থাকে। আর গণপরিবহনগুলো অনেকটাই যাত্রীবোঝাই করেই চলাচল করে। তবে আজ কিছুটা কম হলেও গত সপ্তাহের অবরোধের তুলনায় যানবাহন ও যাত্রী বেশি।
Advertisement
সাইনবোর্ড থেকে বাসগুলো রায়েরবাগ, মাতুয়াইল, শনির আখড়া, কাজলা হয়ে গুলিস্তান, মতিঝিল কিংবা চানখারপুল যাতায়াত করে। এসব গাড়ির মধ্যে মৌমিতাসহ কিছু গাড়ি চলে চাঁনখারপুল হয়ে। অন্যদিন এই গাড়ির সংখ্যা অনেকটা বেশি থাকলেও কিছুটা কম আজ। অনেক সময় পরপর একটি, দুইটি গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে, এই রুটে গুলিস্তান, মতিঝিলে চলাচল করা লোকাল বাসগুলোর সংখ্যা বেশি। বাসের সংখ্যা বেশি থাকলেও যাত্রী কম। ডেকে ডেকে যাত্রী তুলেও পূর্ণ হচ্ছে না বাস।
সচিবালয়ে কর্মরত আহাদ হোসাইন জাগো নিউজকে বলেন, আসলে হরতাল-অবরোধ যাই থাকুক আমাদের তো অফিস ছুটি নেই। বরং এসব দিনগুলোতে অফিসে যাওয়া অনেকটা বাধ্যতামূলক থাকে। কিন্তু রাস্তায় তো গাড়ি পাওয়া যায় না সেভাবে। সচিবালয়ের গাড়িও সেভাবে পাই না, তাই পাবলিক বাসই ভরসা। আজ গাড়ির চলাচলও বেশি দেখতে পাচ্ছি।
আরও পড়ুন: অবরোধে শিক্ষার্থীদের বাসেও আগুন-হামলা, শঙ্কা বাড়ছে শিক্ষাঙ্গনে
একটি বেসকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সালাহউদ্দিন আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, আমার অফিস মগবাজার। এখন যানবাহনের যতই সংকট থাকুক আমাদের বের হতেই হবে। তার ওপর বাসে অগ্নিসংযোগের আতঙ্ক। শনিবার থেকেও তো গাড়িতে আগুন দেওয়া হচ্ছে। ঝুঁকি নিয়েই আমাদের চলতে হয়, কিন্তু রাস্তায় তো সেভাবে গাড়ি পাই না। আজ সকালে শুরুর দিকে গাড়ি না থাকলেও পরে বেড়েছে।
আইএইচআর/এসএনআর/এমএস