ভারতের দিল্লিতে চলছে বিশ্বকাপের আসর। এরইমধ্যে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ শহরটিতে বায়ুদূষণের মাত্রা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। যার খেসারত দিতে হচ্ছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কাকে।
Advertisement
ব্যাপক বায়ুদূষণের কারণে গতকাল শুক্রবারই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের আগে নিজেদের অনুশীলন বাতিল করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। আজ শনিবার (৪ নভেম্বর) বাংলাদেশকে অনুসরণ করে একই ঘোষণা দিলো শ্রীলঙ্কাও।
আগামী সোমবার (৬ নভেম্বর) দিল্লির অরুন জেটলি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে লঙ্কানদের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। মাঠে নামার আগে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সাধারণত অনুশীলন করতে নামেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু বায়ুদূষণের কারণে কোনো ধরনের অনুশীলন ছাড়াই মাঠে নামতে হতে পারে দুই দলকে।
বর্তমানে দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ৪০০ পয়েন্টে উঠে গেছে। যা মারাত্মক পরিস্থিতি বলেই বিবেচিত।
Advertisement
ক্রিকেট বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোর বরাতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) জানিয়েছে, ‘আসরে অংশগ্রহণকারী সকলের ভালো থাকার জন্য আইসিসি এবং আমাদের আয়োজক বিসিসিআই (ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা) অত্যন্ত সতর্ক। তারা দিল্লির বায়ুর মান পর্যবেক্ষণ করছেন। পরিস্থিতি যাচাইবাছাইয়ে আমরা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছি।’
দিল্লির বর্তমান পরিস্থিতি আগামী ৭ নভেম্বর পর্যন্ত বজায় থাকার আশঙ্কা করছেন বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী ভারতের সরকারি সংস্থা। যে কারণে সোমবারের ম্যাচটি মাঠে গড়াবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত পরিস্থিতি বিবেচনা করে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ক্রিকইনফো।
অনুশীলন বাতিলের বিষয়ে বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ বলেছেন, ‘পরিস্থিতি খারাপ থাকার কারণে আমরা ঝুঁকি নেইনি। অনুশীলনের জন্য আমাদের আরও দুইদিন রয়েছে। আমাদের মধ্যে কারও কারও কাশি হয়েছে, তাই এটি একটি ঝুঁকির কারণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অসুস্থ হতে চাই না। পরিস্থিতির উন্নতি হবে কিনা আমরা জানি না। তবে আগামীকাল আমাদের অনুশীলন রয়েছে। আমরা চাই ৬ নভেম্বর হতে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের জন্য সব খেলোয়াড় ফিট থাকুক।’
Advertisement
এর আগে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ চলাকালীন এবং ম্যাচের পর কোনো ধরনের আতশবাজি ফোটানো যাবে না বলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিসিসিআই।
আরআই/এমএমআর/জেআইএম