নাটোরের লালপুরে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ পরিচয়ে মাসুদ রানা নামে এক বিএনপিকর্মীকে তুলে নিয়ে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ।
Advertisement
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) দিনগত রাত ১২ টার দিকে উপজেলার গোপালপুর মহিলা আদর্শ কলেজের পাশ থেকে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
আহত মাসুদ রানা উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের নাগশোষা গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে এবং বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. তাইফুল ইসলাম টিপু গ্রুপের সক্রিয় সদস্য।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিলমাড়িয়া বাজারে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন বিএনপিকর্মী মাসুদ রানা। এ সময় একটি সাদা মাইক্রোবাসে সাত-আটজন ব্যক্তি এসে তাকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। তারা মাসুদ রানার চোখ ও মুখ বেঁধে নিয়ে মাইক্রোবাসের ভেতরে ডান হাতে কুনইয়ে রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। ডান পায়ে চাকু দিয়ে ছয়টি আঘাত করে ও হাঁটুর নিচে রড দিয়ে পিটিয়ে ভেঙে দেন।
Advertisement
রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে এলোপাতাড়ি আঘাতের পর হাত-পা বেঁধে ও রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় মৃত ভেবে উপজেলা পরিষদের পাশে গোপালপুর মহিলা কলেজে সামনের খাদে ফেলে যায়। কিছুক্ষণ পর রানার জ্ঞান ফিরলে ডাক-চিৎকারে সেখানকার নৈশপ্রহরীর নজরে এলে তাকে উদ্ধার করা হয়। পরিবারের লোকজন এসে তাকে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সুরুজ্জামান শামীম জাগো নিউজকে বলেন, আহত ব্যক্তির ডান হাতের কুনইয়ে রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়। ডান পায়ে ধারালো অস্ত্রের ছয়টি আঘাত আছে। হাঁটুর নিচে রডের আঘাতে ভেঙে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. উজ্জ্বল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাদাৎ জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টির সাথে ডিবি পুলিশ কোনোভাবেই জড়িত নয়। কারা জড়িত সে বিষয়ে তদন্ত করে শনাক্তের পর তাদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করা হচ্ছে।
Advertisement
রেজাউল করিম রেজা/এসজে/এমএস