ইরান-সমর্থিত লেবানিজ গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর কাছে উন্নত প্রযুক্তির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাঠাচ্ছে রাশিয়া। রুশ প্যারামিলিটারি সংস্থা ওয়াগনার গ্রুপের মাধ্যমে সিরিয়া থেকে হিজবুল্লাহর হাতে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হবে। সম্প্রতি গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এমন দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা।
Advertisement
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের মধ্যে লেবানিজ গোষ্ঠীটির কাছে এসএ-২২ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া।
আরও পড়ুন>> ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাই সংকটের একমাত্র সমাধান: পুতিন
এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি এরই মধ্যে পাঠানো হয়েছে কি না তা নিশ্চিত করেনি ওয়াশিংটন। তবে ওয়াগনার ও হিজবুল্লাহর মধ্যকার আলাপ-আলোচনা পর্যবেক্ষণ করছে তারা। উন্নত প্রযুক্তির এই চালান গুরুতর উদ্বেগের কারণ বলে উল্লেখ করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
Advertisement
এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি ওয়াশিংটনের রুশ দূতাবাস।
আরও পড়ুন>> হামাসের কাছে অস্ত্র পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন কিম জং উন
হোয়াইট হাউজের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন বলেছেন, দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল যে তথ্য দিয়েছে, তা উদ্বেগজনক। আমরা জানি, ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলার ঘটনায় হামাসের নিন্দা করতে অস্বীকার করেছে রাশিয়া এবং সম্প্রতি মস্কোয় হামাস কর্মকর্তাদের আতিথেয়তা করেছে তারা। রাশিয়া ইউক্রেনে ক্রমাগত নৃশংসতা চালিয়ে যাওয়ার মধ্যেই এটি ঘটেছে।
আরও পড়ুন>> অনলাইন মানচিত্র থেকে ইসরায়েলের নাম মুছে ফেলেছে চীন: রিপোর্ট
Advertisement
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ওয়াগনার গ্রুপ। দেশটিতে হিজবুল্লাহর উপস্থিতিও রয়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধীদের দমনে সিরীয় সরকারকে সাহায্য করছে লেবানিজ গোষ্ঠীটি।
মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুসারে, অতীতে সিরিয়াকে রুশ এসএ-২২ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়েছিল রাশিয়া। এখন সেটি যদি হিজবুল্লাহর হাতে যায়, তাহলে এতে নিশ্চিত আসাদ সরকারের সমর্থন থাকবে।
আরও পড়ুন>> ইসরায়েল-হামাস সংঘাতে রাশিয়ার লাভ, দুশ্চিন্তায় ইউক্রেন
ইসরায়েল ও তার মিত্রদের আশঙ্কা, ইসরায়েল-হামাস সংঘাতে হিজবুল্লাহ জড়িয়ে পড়লে ইসরায়েলের উত্তর সীমান্তে যুদ্ধের নতুন প্রান্ত উন্মুক্ত হতে পারে। হিজবুল্লাহ ও ইরানকে এই লড়াই থেকে বিরত রাখতে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে বিশাল রণতরী মোতায়েন করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।
কেএএ/