বৃহস্পতিবার রাতে আটক হওয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে পুলিশ হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
Advertisement
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
হারুন অর রশীদ আরও বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আমরা অনেকদিন ধরে খুঁজছিলাম। সে একটা বাসায় পালিয়ে ছিল, সেখান থেকে আমরা গতকাল রাতে তাকে গ্রেফতার করেছি। পুলিশ হত্যাকাণ্ডের মামলায় আমির খসরু ৪ নম্বর আসামি। এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আজ আদালতে পাঠিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চাইবো।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর হামলা-অগ্নিকাণ্ডে জড়িতদের নাম পেয়েছি: হারুন
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে গুলশান ৮১ নম্বর রোডের বাসা থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তাকে আটক করে।
এর আগে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর শহীদবাগে অভিযান চালিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
আরও পড়ুন: পুলিশ সদস্য হত্যার আসামি যুবদল নেতা আনসার গ্রেফতার
এরও আগে রোববার (২৯ অক্টোবর) সকালে গুলশানের বাসা থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। সরকার পতনের একদফা দাবি আদায়ে ওইদিন সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে বিএনপি।
Advertisement
শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ছিল। মহাসমাবেশ ঘিরে সকাল থেকেই নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল নামে। দুপুরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হলে এক পর্যায়ে মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।
সংঘর্ষ চলাকালে মাথায় আঘাত পেয়ে রাস্তায় পড়ে যান দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য আমিরুল। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আমিরুলের বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায়।
টিটি/এসএনআর/এমএস