২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে হামলা, গাড়িতে আগুন ও পুলিশ সদস্যকে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের নাম পাওয়া গেছে। শিগগির তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
Advertisement
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবর কাদের নেতৃত্বে, কাদের ইন্ধনে, কারা কারা বিএনপির ছিল স্টেজে, কারা ইন্ধন জুগিয়েছিল বাকি সদস্য যারা তাদের খুঁজে আমরা গ্রেফতার করবো।
ডিবিপ্রধান বলেন, ২৮ অক্টোবর ছাড়াও অবরোধের দিনগুলোতে যেসব গাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে, পুলিশ হাসপাতালের গাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করা হয়েছে, ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় তথাকথিত অবরোধের নামে যেভাবে জনগণের যানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা হয়েছে, অনেকগুলো বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে প্রত্যেকটা ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। যারা আগুন লাগিয়েছে তাদের নাম আমরা পেয়েছি, আমরা শিগগির তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।
Advertisement
আরও পড়ুন> বিএনপি নেতা আমীর খসরু গ্রেফতার
হারুন অর রশীদ আরও বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আমরা অনেকদিন ধরে খুঁজছিলাম। সে একটা বাসায় পালিয়ে ছিল, সেখান থেকে আমরা গতকাল রাতে তাকে গ্রেফতার করেছি। পুলিশ হত্যাকাণ্ডের মামলায় আমীর খসরু ৪ নম্বর আসামি। এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আজ আদালতে পাঠিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চাইবো।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন প্রকাশ্য দিবালোকে আমার পুলিশ ভাইকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া আমার আরও অনেক পুলিশ ভাই ঢাকা মেডিকেল কলেজে ও রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে একজন কোমায় চলে গেছেন। হাসপাতালে গেলে দেখা যায় এসব পুলিশ সদস্যদের পরিবার ও বাচ্চাদের কান্না ও আহাজারি।
এ মামলার যারা আসামি তাদের সবাইকে আইনের কাছে সোপর্দ হতে হবে। যারা পালিয়ে ছিলেন তারা কিন্তু রক্ষা পায়নি। যারা পালিয়ে আছেন, এখনো আমি মনে করি তাদের ধরে আদালতের কাছে সোপর্দ করবো।
Advertisement
টিটি/এসএনআর/এমএস