দূষণে বিপর্যস্ত ভারতের রাজধানী দিল্লি। বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে সেখানের বায়ুদূষণ। এই পরিস্থিতিতে দুই দিন রাজ্য়েটির প্রাথমিক স্কুল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে দিল্লি সরকার। বায়ুদূষণ থেকে খুদে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করতেই এমন সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি দিল্লি ও এনসিআরে অপ্রয়োজনীয় নির্মাণও নিষিদ্ধ করেছে কেজরিওয়াল সরকার।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, আগামী দুদিন বন্ধ থাকবে সব প্রাথমিক স্কুল। বায়ুদূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, এই দুদিন অনলাইন ক্লাস নিতে পারে স্কুলগুলো। পাশাপাশি নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন>নির্বাচন সামনে রেখে দুর্নীতিবাজদের ধরতে অভিযান
আলো ফুটলেও তা স্পষ্ট নয়। ধোঁয়াশার জেরে বাড়ছে চোখ জ্বালা। গত কয়েকদিনে এমনই পরিস্থিতি দিল্লির, যা এবার পৌঁছে গেছে বিপজ্জনক পর্যায়। বৃহস্পতিবার দিল্লির বাতাসের মান ছিল ৪০২। বাতাসের গুণমান ২০১ থেকে ৩০০-র মধ্যে থাকলে তাকে ক্ষতিকর বলে ধরা হয়। ৩০১ থেকে ৪০০-র মধ্যে বাতাসের মান থাকলে তা অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং ৪০১ থেকে ৫০০-র মধ্যে থাকলে পরিস্থিতি গুরুতর বলে ধরা হয়।
Advertisement
বছর আসে, বছর যায়, কিন্তু বায়ুদূষণ নিয়ে দিল্লিবাসীর ভয় কাটে না। ধোয়াঁশার চাদরে ঢেকে যায় দেশটির রাজধানী। উৎসবের মৌসুম এখনও শেষ হয়নি। ঠান্ডা পড়তে এখনো বেশ কিছুটা দেরি। আবার আগামী সপ্তাহে রয়েছে দীপাবলি। কিন্তু এরই মধ্যে ফের ভয় ধরাচ্ছে দিল্লির দূষণ। দিনের বেলাতেও গাড়ি চালাতে হচ্ছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। এর আগে গত দুবছরও স্কুলসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার।
আরও পড়ুন>পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নিয়ে একমত প্রেসিডেন্ট-সিইসি
প্রতিবছরই দীপাবলির সময় দূষণে ঢাকে দিল্লি। নভেম্বর মাস পড়তে না পড়তেই ফের দূষণ ত্রাস। পাশাপাশি এই সময়ে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, পাঞ্জাবের বিস্তীর্ণ অংশে ফসলের গোড়া পোড়ানো হয়। তার জেরেও ভয়াবহ দূষণের শিকার হয় দিল্লি, নয়ডা ওবং বিস্তীর্ণ লাগোয়া এলাকা। গত বছরও দীপাবলির রাতের পরেই দিল্লির বাতাসের মান চলে যায় ‘খুব খারাপ’ ক্যাটেগরিতে। ধোঁয়াশায় ঢেকে গিয়েছিল দেশটির রাজধানীর আকাশ।
সূত্র: এনডিটিভি
Advertisement
এমএসএম