জুমার দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ওয়াজিব আমল হলো জুমার নামাজ। জুমার সালাতের গুরুত্ব বোঝাতে রাসুল (সা.) বলেছেন,
Advertisement
من تَرَكَ ثلاث جمعٍ تهاوناً بها طبع الله على قلبه
যে ব্যক্তি অলসতা করে ধারাবাহিকভাবে তিনটি জুমার জামাতে অনুপস্থিত থাকে, আল্লাহ তা’আলা তার অন্তরে মোহর মেরে দেন। (সুনানে নাসাঈ: ১৩৭২) অর্থাৎ সেই অন্তর হেদায়াত পাওয়ার অযোগ্য হয়ে যায়।
তবে সবার ওপর জুমা আদায় করা ওয়াজিব নয়। জুমার নামাজ ওয়াজিব মুসলমান প্রাপ্তবয়স্ক, জ্ঞানসম্পন্ন (যিনি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন নন) মুকিম (যিনি মুসাফির নন) স্বাধীন (যিনি ক্রিতদাস নন) নগর বা লোকালয়ের অধিবাসী পুরুষদের ওপর; যার এমন কোনো গ্রহণযোগ্য অসুবিধা, অসুস্থতা বা বার্ধক্য নেই যে কারণে তিনি মসজিদে উপস্থিত হতে ও জুমা আদায় করতে অক্ষম।
Advertisement
জুমার সময় যারা চলন্ত নৌকা, ফেরি, লঞ্চ ইত্যাদিতে অবস্থান করবে, তারা লোকলয় বা শহরের বাইরে রয়েছেন বলে গণ্য হবে। তাদের ওপর জুমা ওয়াজিব নয়। চলমান লঞ্জ বা ফেরিতে জুমা আদায় করলে তা শুদ্ধ হবে না। কারণ জুমার নামাজ শুদ্ধ হওয়ার জন্য একটি শর্ত হলো, জুমা হতে হবে কোনো শহরে বা এমন কোনো গ্রামে যেখানে শহরের সুযোগ সুবিধা থাকে। যেমন, নিত্যপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্র পাওয়া যায় এমন বাজার থাকে, রাস্তা-ঘাটের সুব্যবস্থা থাকে এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থাও থাকে ইত্যাদি। চলন্ত লঞ্চ বা ফেরিতে এসব শর্ত পাওয়া যায় না।
তবে লঞ্চ বা ফেরি যদি এমন কোনো জায়গায় নোঙর করা থাকে যেখানে জুমা আদায় করার শর্তগুলো পাওয়া যায়, তাহলে ওই লঞ্চ বা ফেরিতে জুমা আদায় করা যাবে। কারণ নোঙর করা অবস্থায় লঞ্চ ও ফেরির হুকুম ওই পাড় সংলগ্ন জায়গার মতোই।
ওএফএফ/জিকেএস
Advertisement