শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় চতুর্থ সাক্ষী মো. মিজানুর রহমানের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। এরপর তাকে প্রাথমিকভাবে জেরার কার্যক্রম শুরু করে পরবর্তী জেরার জন্য আগামী ৬ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানার আদালতে মামলার চতুর্থ সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।
বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী। তিনি জানান, আদালতে মামলার চতুর্থ সাক্ষীর জবানবন্দি শেষে ড. ইউনুসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন সাক্ষীকে জেরা শুরু করেন। জেরা অসমাপ্ত অবস্থায় আগামী ৬ নভেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।
এ মামলায় ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন ও ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ। অন্যদিকে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী।
Advertisement
গত ১৮ অক্টোবর এ মামলার দ্বিতীয় সাক্ষী হাদিউজ্জামানের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। তারও আগে গত ১১ অক্টোবর মামলার বাদী শ্রমপরিদর্শক তরিকুল ইসলামকে আসামিপক্ষের জেরা শেষ হয়। ২২ আগস্ট এ সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণের পর তাকে জেরা করেন ড. ইউনূসের আইনজীবীরা। এরপর গত ৫, ১৩, ২০ ও ২৭ সেপ্টেম্বর, ৩ ও ১১ অক্টোবর সাক্ষীকে জেরা করেন ড. ইউনূসের আইনজীবী।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রমপরিদর্শক তরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
এ মামলায় ড. ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে বিবাদী করা হয়েছে।
এফএইচ/বিএ
Advertisement