বিএনপি-জামায়াতের তিনদিনের অবরোধ শেষ হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার। অবরোধের তিনদিন ঢাকা থেকে দূরপাল্লার বাস ছাড়েনি বলেলেই চলে। সে কারণে অবরোধ শেষ হওয়ায় গাবতলীতে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। কিন্তু বাস সংকটের কারণে মিলছে না টিকিট। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে গাবতলীতে বাস কাউন্টারে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
২৮ অক্টোবর ঢাকায় তিনটি বড় রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিসহ অন্যান্য দলগুলোরও কর্মসূচি চিল। এরপর বিএনপি-জামায়াতের একদিনের হরতাল শেষে তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচি। মূলত হরতাল এবং অবরোধের কারণে অনেক বাস বিভিন্ন জেলায় আটকা পড়েছে। বাসগুলো এখনো ঢাকায় এসে পৌঁছাতে পারেনি। ফলে বৃহস্পতিবার অবরোধ শেষে হলে গাবতলীতে দূরপাল্লার যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় জমে। ঢাকায় যে বাসগুলো আছে সেগুলো ছেড়ে যাচ্ছে, তবে যাত্রীর তুলনায় বাসের সংখ্যা অপ্রতুল।
আরও পড়ুন>> মিরপুর স্টেডিয়ামের সামনে বাসে আগুন
Advertisement
কউন্টারে কথা হয় চুয়াডাঙ্গার আসাদুল হকের সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে জানান, বিদেশগামী ছোট ভাইকে এয়ারপোর্টে পৌঁছে দিতে গত ২৭ অক্টোবর ঢাকা এসেছিলেন তিনি। ছোট ভাইকে বিদায় দিতে পারলেও আসাদুল ঢাকায় আটকা পড়েন। কয়েকদিন আত্মীয়র বাসায় ছিলেন। এখন অবরোধ ছাড়লেও গাবতলীতে এসে টিকিট পাচ্ছে না।
আসাদুল বলেন, ‘যে কাউন্টারেই যাই সবাই বলে টিকিট নেই, বাস সংকট। দুই ঘণ্টা ঘুরেও গাবতলীতে কোনো টিকিট পাচ্ছি না।’
বাস কাউন্টার থেকে জানানো হয়, হরতাল ও অবরোধে অধিকাংশ বাস আটকা পড়েছে। ফলে ঢাকায় যে বাসগুলো আটকা পড়েছিল সেগুলো ছেড়ে যাচ্ছে।
কারওয়ানবাজারের একটি মুদি দোকানে কাজ করেন ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার আজিজুল ইসলাম। বাড়ি যাবেন, কিন্তু গাবতলীতে এসে তিনিও টিকিট পাচ্ছেন না। টিকিট পেলেও চড়া দাম ধরা হচ্ছে বলে দাবি তার।
Advertisement
জানা গেছে, দৈনিক শ্যামলী পরিবহনের ১০০ থেকে ১১০টি শ্যামলী বাস যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছেড়ে যায়। কিন্তু বৃহস্পতিবার মাত্র ১৫টি বাস ঢাকা ছেড়ে গেছে।
শ্যামলী কাউন্টারের টিকিট বুকিং মাস্টার আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘হরতাল অবরোধের ভয়ে অনেক বাস দেশের নানা প্রান্তে আটকা পড়েছে। ঢাকায় আমাদের যে কয়টি বাস আছে তা ছাড়া হচ্ছে। যেখানে দৈনিক ১০০টির বেশি বাস ছাড়া হয় সেখানে আজ ছেড়েছি মাত্র ১৫টি বাস।’
এমওএস/ইএ