১৪৪ ধারা জারির পর নোয়াখালীর কবিরহাট পৌর এলাকার বাইরে সমাবেশ করেছে উপজেলা যুবলীগ। তবে পৌর যুবলীগের সমাবেশ স্থগিত করলেও তাদের হামলায় উপজেলা যুবলীগের আট নেতাকর্মী আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন মাঠে উপজেলা যুবলীগের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবু জাফর আবিরের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক উপজলা ভাইস চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম।
উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, তারুণ্যের জয়যাত্রায় আসার সময় কবিরহাট উপজেলা যুবলীগের আট নেতাকর্মীকে পিটিয়ে আহত করেছেন পৌর যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এরমধ্যে উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম (৩২), ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক সুমন মেম্বার (৩৩), বাটইয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন (৩৫) ও ঘোষবাগ ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামালকে (৩০) নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: একই জায়গায় যুবলীগের দুই গ্রুপের সমাবেশ, কবিরহাটে ১৪৪ ধারা জারি
Advertisement
এ বিষয়ে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সভাপতি আবু জাফর আবির বলেন, ‘স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিরোধের জেরে পৌরসভা যুবলীগকে ব্যবহার করে উপজেলা যুবলীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচিকে পণ্ড করতে চেয়েছিলেন পৌরমেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রায়হান। বিষয়টি জেলা নেতাদের জানিয়েছি।’
পৌর যুবলীগের সভাপতি আবুল বাসার বাবুল জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করায় আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমাদের সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে। তবে আমাদের সমর্থনে প্রত্যেক ইউনিয়ন যুবলীগ কর্মসূচি পালন করেছে।’
নেতাকর্মীদের ওপর হামলাসহ আহতের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কালামুন্সি বাজার উপজেলা যুবলীগ নেতাদের সঙ্গে তর্কাতর্কি ও হাতাহাতি হয়েছে। তবে এতে কেউ আহত হয়েছে কি না আমার জানা নেই।’
কবিরহাট পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রায়হান জাগো নিউজকে বলেন, আমরা মূল সংগঠনের পক্ষ থেকে যুবলীগের বিরোধ মীমাংসার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু সমঝোতা না হওয়ায় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে।
Advertisement
তবে পৌর যুবলীগকে সমর্থন ও উপজেলা যুবলীগের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি।
এরআগে দুপুর ১টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত কবিরহাট পৌরসভা ও এর আশপাশের ৯টি ওয়ার্ডে ১৪৪ ধারা জারি করেন কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাতিমা সুলতানা।
তিনি জাগো নিউজকে বলেন, বিকেল ৩টায় যুবলীগের উপজেলা ও পৌরসভা শাখা কবিরহাট বাজারে আলাদা হয়ে একই স্থানে সমাবেশের ডাক দেওয়ায় আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এর পাশাপাশি র্যাব ও বিজিবির টহল জোরদার ছিল। পৌর এলাকার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি।
ইকবাল হোসেন মজনু/এসআর/জেআইএম