ক্রিকেটে ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন নিয়ে খেলাধুলায় এসেছিলেন রিতু আক্তার। ২০১৬ সালে মিরপুর বয়েজের জার্সিতে প্রথম বিভাগ লিগে অংশ নিয়ে সেই স্বপ্নের পথে এক ধাপ এগিয়েও গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু গাইবান্ধার নশরতপুর গ্রামের রিতু ক্রিকেট ছেড়ে বেছে নিয়েছেন অ্যাথলেটিকস।
Advertisement
দেশে ও আন্তর্জাতিক ময়দানে তিনটি রেকর্ড গড়ে রিতু এখন দেশসেরা নারী হাইজাম্পার। আগামী ১০ ও ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য সামার অ্যাথলেটিকস সামনে রেখে নিজেকে প্রস্তুত করছেন রিতু।
নিজের রেকর্ড ভেঙে এই ইভেন্টে সামারে প্রথম স্বর্ণজয়ের লক্ষ্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ অ্যাথলেটের। গেমস সামনে রেখে নিজের প্রস্তুতি ও প্রত্যশা নিয়ে কথা বলেছেন ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি উচ্চতার রিতু।
জাগো নিউজ: জাতীয় সামার চ্যাম্পিয়নশিপ দিয়ে ১০ নভেম্বর অ্যাথলেটিকস ফিরছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। নিজঘরে অ্যাথলেটিকস ফিরছে আপনার প্রতিক্রিয়া কি?রিতু আক্তার: এটা আমাদের জন্য অনেক খুশির খবর। আমি এই ভেন্যুতে ২০২১ সালে প্রথম জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ খেলে রেকর্ড করেছিলাম। আশা করি, নতুন ট্র্যাকে আরো ভালো পারফরম্যান্স করতে পারবো।
Advertisement
জাগো নিউজ: আপনি তিনবার জাতীয় রেকর্ড করেছেন। কখন কোন প্রতিযোগিতায়?রিতু আক্তার: ২০২১ সালে প্রথমবার জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়েই ১.৭০ মিটার লাফিয়ে রেকর্ডসহ স্বর্ণ জিতেছিলাম। এরপর ২০২২ সালের আগস্টে তুরস্কে অনুষ্ঠিত ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে ১.৭৩ মিটার লাফিয়ে জাতীয় রেকর্ড গড়ে ১১ জনের মধ্যে সপ্তম হয়েছিলাম। আর গত বছর সর্বশেষ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ১.৭৫ মিটার লাফিয়ে নতুন রেকর্ড গড়ে স্বর্ণ জিতি। এটি ছিল আমার জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে তৃতীয় স্বর্ণ।
জাগো নিউজ: এখন অনুশীলন কেমন হচ্ছে? কতটুকু আশাবাদী সামার চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে?রিতু আক্তার: আলহামদুলিল্লাহ ভালো অনুশীলন চলছে। রেকর্ডের চেয়েও বেশি ১.৭৭ মিটার লাফাচ্ছি। আশা করছি নিজের রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণ জিততে পারবো।
জাগো নিউজ: এটা আপনার কততম সামার? আগে কি পারফরম্যান্স ছিল?রিতু আক্তার: এটা হবে আমার তৃতীয় সামার চ্যাম্পিয়নশিপ। আগের দুটোতেই আমি রৌপ্য জিতেছিলাম।
জাগো নিউজ: ইসলামিক সলিডারিটি গেমস ছাড়া কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন?রিতু আক্তার: হ্যাঁ। এ বছরই থাইল্যান্ডে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়েছিলাম। ১.৭০ মিটার লাফিয়ে ৮ম হয়েছিলাম। যাওয়ার আগে আমি করোনা পজিটিভ হয়েছিলাম। করোনামুক্ত হয়ে খেলতে গিয়েছিলাম।
Advertisement
জাগো নিউজ: আমাদের প্রধান লক্ষ্য থাকে এসএ গেমস। আগামী এসএ গেমসে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেলে কি লক্ষ্য থাকবে আপনার?রিতু আক্তার: অবশ্যই স্বর্ণজয়ের লক্ষ্য থাকবে। ২০১৯ সালে ভারতের জিশনা ১.৭৩ মিটার লাফিয়ে স্বর্ণ জিতেছেন। আমি এখন তার চেয়ে বেশি লাফাই। তাই এসএ গেমসে স্বর্ণের প্রত্যাশা করছি।
জাগো নিউজ: ধন্যবাদ।রিতু আক্তার: আপনাকেও ধন্যবাদ।
আরআই/এমএমআর/জেআইএম