আন্তর্জাতিক

হামাসের কাছে অস্ত্র পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন কিম জং উন

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের সাহায্য করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের কাছে অস্ত্র পাঠানোর বিষয়টিও বিবেচনা করছে পিয়ংইয়ং। দক্ষিণ কোরীয় গোয়েন্দা সংস্থার বরাতে বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

Advertisement

খবরে বলা হয়েছে, অতীতে হামাসের কাছে ট্যাংকবিধ্বংসী রকেট লঞ্চার বিক্রি করেছিল উত্তর কোরিয়া। এখন গাজায় যুদ্ধ চলাকালে পিয়ংইয়ং আরও অস্ত্র পাঠানোর প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সংসদীয় কমিটির রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির গোয়েন্দারা।

আরও পড়ুন>> ফিলিস্তিনের পক্ষে উত্তর কোরিয়া, বললো ‘সংঘাতের জন্য ইসরায়েল দায়ী’

দ্য কোরিয়ান হেরাল্ডের খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনআইএস) পরিচালক কিম কিও-হুন আইনপ্রণেতাদের বলেছেন, তারা বিশ্বাস করেন, যুদ্ধের ফায়দা নিতে কিম জং উন ফিলিস্তিনিদের ‘বিস্তৃত সহায়তা’ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement

দক্ষিণ কোরীয় কর্মকর্তাদের দাবি, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালানোর সময় হামাস যোদ্ধাদের হাতে উত্তর কোরিয়ার তৈরি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র দেখা গেছে।

আরও পড়ুন>> হামাসের হাতে উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র?

বার্তা সংস্থা এপির খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলে হামলার সময় হামাস সম্ভবত উত্তর কোরিয়ার তৈরি এফ-৭ রকেট-প্রোপেলড গ্রেনেড ব্যবহার করেছিল। সাধারণত সাঁজোয়া যান ধ্বংস করতে এই অস্ত্র ব্যবহার করা হয়।

এর আগে, ইসরায়েল-হামাসের সাম্প্রতিক সংঘাত শুরুর পরপরই ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়িয়েছিল উত্তর কোরিয়া। রক্তক্ষয়ী এই লড়াইয়ের জন্য ইসরায়েলিদের দায়ী করেছিল কিন জং উনের দেশ।

Advertisement

আরও পড়ুন>> যেভাবে এত অস্ত্র জোগাড় করেছে হামাস

গত ১০ অক্টোবর উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়, ফিলিস্তিনের জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অবিরাম অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের পরিণতি এই যুদ্ধ।

একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গড়ে তোলাই এই সংকট সমাধানের মূল উপায় বলে উল্লেখ করা হয় ওই নিবন্ধে।

কেএএ/