শহরের ভেতরে চলাচল করা স্বল্পপাল্লার যানবাহনগুলোতে মানুষ সাধারণত টিকিট না কেটে ওঠে, একজন হেলপার বা কন্ট্রাক্টর থাকেন যিনি সবার কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে নেন। এসব যানবাহনে গন্তব্য অনুযায়ী যাত্রাীদের জন্য যে ভাড়া নির্ধারিত থাকে, তা যথাযথভাবে পরিশোধ করা যাত্রীদের ওপর ওয়াজিব। এটা বাসের চালক, কর্মচারী ও মালিকের প্রাপ্য বা হক। কোনো রকম ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়ে ভাড়া কম দিলে বা না দিলে সেটা যাত্রীর ওপর গাড়ি সংশ্লিষ্টদের পাওনা হিসেবে থেকে যাবে। কেয়ামতের দিন নিজের সওয়াব দিয়ে বা অন্যের পাপের বোঝা নিয়ে এ রকম পাওনা পরিশোধ করতে হবে। রাসুল (সা.) বলেন,
Advertisement
مَن كانَتْ عِنْدَهُ مَظْلِمَةٌ لأخِيهِ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْها، فإنَّه ليسَ ثَمَّ دِينارٌ ولا دِرْهَمٌ، مِن قَبْلِ أنْ يُؤْخَذَ لأخِيهِ مِن حَسَناتِهِ، فإنْ لَمْ يَكُنْ له حَسَناتٌ أُخِذَ مِن سَيِّئاتِ أخِيهِ فَطُرِحَتْ عليه
কারো উপর তার ভাইয়ের কোনো দাবি থাকলে সে যেন তা থেকে মুক্ত হয়। কারণ কেয়ামতের দিন পাওনা পরিশোধের জন্য টাকা-পয়সা থাকবে না। তখন অন্যায়ের সমপরিমাণ সওয়াব পাওনাদারের জন্য নিয়ে নেওয়া হবে। সওয়াব না থাকলে পাওনাদারের গুনাহগুলো তার উপরে চাপিয়ে দেওয়া হবে। ( সহিহ বুখারি ৬৫৩৪)
কেউ যদি ভুল করে ভাড়া না দিয়ে কোনো গাড়ি থেকে নেমে যায়, তাহলে যথাসম্ভব ওই নির্দিষ্ট গাড়িটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে হবে। তা কোনোভাবেই সম্ভব না হলে দেখতে হবে এটা কোনো কোম্পানির গাড়ি কি না এবং গাড়ির মালিকদের কাছে টাকা পৌঁছানোর সুযোগ আছে কি না, সে রকম সুযোগ থাকলে চেষ্টা করতে হবে ওই কোম্পানির মালিকদের কাছে টাকা পৌঁছানোর। তাও যদি সম্ভব না হয়, তাহলে ওই পরিমাণ টাকা পাওনাদাররা সওয়াব পাবে এই নিয়তে দান করে দেবে এবং নিজের অবহেলার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে।
Advertisement
পরবর্তীতে নির্দিষ্ট গাড়িটি খুঁজে পাওয়া গেলে ভাড়া না দিয়ে নেমে যাওয়া এবং পরবর্তীতে সদকা করার কথা গাড়ির দায়িত্বশীলদের জানাবে। তারা দাবি ছেড়ে দিলে সমস্যা নেই, দাবি না ছাড়লে ওই ভাড়া পরিশোধ করে দিতে হবে।
ওএফএফ/জেআইএম