জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের বিমান হামলা যুদ্ধাপরাধ বলে বিবেচিত হতে পারে। গাজার ওই শরণার্থী শিবিরটি শহরের একটি জনবহুল এলাকায় অবস্থিত। গত মঙ্গলবার সেখানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়।
Advertisement
সেখানে বুধবারও ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ওই শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৯৫ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আরও শতাধিক মানুষ নিখোঁজ হয়েছে বলেও জানানো হয়। ইসরায়েলের দফায় দফায় হামলায় প্রায় ৭৭৭ জন আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সমাধান দিলেন পোপ ফ্রান্সিস
গাজার সবচেয়ে বড় এই শরণার্থী শিবিরে হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা এই হামলায় হতবাক হয়েছেন। জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক জানিয়েছেন, গাজায় ক্রমবর্ধমান সহিংসতার ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন অ্যান্তনিও গুতেরেস।
Advertisement
তিনি বলেন, জনবহুল শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। আবাসিক এলাকাগুলোতেও হামলা চালানো হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি আগ্রাসনে আরও প্রায় ২০০ মানুষ নিহত হয়েছে। গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ওই শরণার্থী শিবিরে দুই দফা হামলায় এখন পর্যন্ত এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। ইসরায়েল দাবি করেছে যে, তারা হামাসের টার্গেট লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর দখলদার ইসরায়েলের ওপর হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এর জবাবে পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েল। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ইসরায়েল গাজার বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা অব্যাহত রেখেছে।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে আরও প্রায় ২০০ জনের প্রাণহানি
Advertisement
ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সও (আইডিএফ) এর আগে নিশ্চিত করেছে যে, তারা গাজার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া এলাকায় হামলা চালিয়েছে। ওই হামলায় হামাসের এক শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করা হয়েছে এবং হামাসের মাটির নিচে থাকা অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে আইডিএফ দাবি করেছে।
টিটিএন