ন্যূনতম মজুরি বাড়ানোর দাবিতে রাজধানীর মিরপুরে তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেন পোশাকশ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) তারা সকাল ৯টা থেকে পূরবীর সড়ক আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন। এরপর ঘণ্টাখানেক পর অ্যাকশনে যায় পুলিশ। টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে ১০ মিনিটের মধ্যে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
Advertisement
আরও পড়ুন: পোশাক কারখানার নিরাপত্তায় বিজিবি মোতায়েন
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৯টা থেকে পূরবীর সড়ক আটকে বিক্ষোভ করেন ইপিলিয়ান, অ্যাপোলো নিটওয়্যার ও স্ট্যান্ডার্ড গার্মেন্টসের শ্রমিকরা। তবে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১১টা ৪০ মিনিটের মধ্যে শ্রমিকদের সরিয়ে সড়কে অবস্থান নেয় পুলিশ। এসময় শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও সাউন্ড গ্রেনেডে ব্যবহার করা হয়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা দেখা যায়নি।
এদিকে শ্রমিকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে অলিগলিতে আশ্রয় নিলে সেখান থেকে তাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সরিয়ে দেন। এরপর পুলিশের ধাওয়া খেয়ে কালশী, মিরপুর-১২ নম্বর ও ৬ নম্বরের দিকে যেতে দেখা গেছে শ্রমিকদের। দুপুর ১২টা থেকে পূরবী সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
Advertisement
আরও পড়ুন: মিরপুরে পোশাকশ্রমিক-আওয়ামী লীগ-পুলিশ সংঘর্ষ
তবে সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি রয়েছে। এছাড়া বিজিবি ও র্যাবকে টহল দিতে দেখা গেছে। এর আগে সকালে মিরপুর-১০ নম্বরে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ হয়।
মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিন বলেন, সকালে মিরপুরে আমাদের ওপর হামলা চালান শ্রমিকরা। একপর্যায়ে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। তাদের বুঝিয়ে সরাতে গেলে আবারও হামলা হয়। আমার কাছে মনে হয়েছে তাদের উদ্দেশ্য অন্য কিছু। আমরা তাদের প্রধান সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়েছি। যাতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এসএম/জেডএইচ/জিকেএস
Advertisement