মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সৌদির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খালিদ বিন সালমান। আগামী শুক্রবার (৩ নভেম্বর) ইসরায়েল সফরে যাচ্ছেন ব্লিঙ্কেন। তার আগেই সৌদির প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন এই শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক। খবর বিবিসির।
Advertisement
এদিকে তাদের এই বৈঠকের বিষয়ে সৌদির ডি-ফ্যাক্টো নেতা ও ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, আমাদের ঘনিষ্ঠ এবং কৌশলগত সম্পর্ক পর্যালোচনা করার পাশাপাশি এই অঞ্চলে উত্তেজনা কমানোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে তারা বৈঠক করেছেন।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলা/ ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে আরও প্রায় ২০০ জনের প্রাণহানি
তাদের মধ্যে এমন এক সময় বৈঠক হলো যখন মধ্যপ্রাচ্যের অনেক নেতাই ইসরায়েলের প্রতি পশ্চিমা সমর্থনের তীব্র সমালোচনা করে আসছেন।
Advertisement
সৌদি আরব ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়ায় ছিল। কিন্তু হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাতে এই পরিস্থিতি কিছুটা বদলে গেছে। গত সপ্তাহে সৌদি কর্মকর্তারা মার্কিন সিনেটরদের একটি প্রতিনিধি দলকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, গাজায় ইসরায়েলের স্থল অভিযান খুব খারাপ পরিণতি ডেকে আনবে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় অভিযান শুরু করে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত সেখানে হামলা অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে গাজা উপত্যকার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ফের হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে গত ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে ইসরায়েলি আগ্রাসনে আরও প্রায় ২০০ মানুষ নিহত হয়েছে। গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ওই শরণার্থী শিবিরে দুই দফা হামলায় এখন পর্যন্ত এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ১৯৫ জন নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়া আরও ১২০ জন নিখোঁজ রয়েছে। ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ৭৭৭ জন আহত হয়েছে বলেও জানানো হয়।
Advertisement
আরও পড়ুন: কিছু বিদেশি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস
জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলাকে ভয়াবহ বলে উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। অন্যদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাই কমিশনার জানিয়েছেন যে, এ ধরনের হামলা যুদ্ধাপরাধ বলে গণ্য হতে পারে। ইসরায়েল দাবি করেছে যে, তারা হামাসের টার্গেট লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
টিটিএন