বিএনপি, জামায়াতের টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির আজ দ্বিতীয় দিন। সায়েন্সল্যাব-নিউমার্কেট এলাকায় সড়কে যানবাহনের চাপ গতকালের তুলনায় কিছুটা বাড়লেও ক্রেতা নেই মার্কেটে। ক্রেতা সমাগম না থাকায় অধিকাংশ দোকানি অলস সময় পার করছেন।
Advertisement
বুধবার (১ নভেম্বর) সকাল ১০টায় সরেজমিনে নিউমার্কেট এবং এর আশপাশের মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, দোকান খুলেছে। তবে অন্য দিনের তুলনায় ক্রেতা সমাগম একেবারেই কম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচিতে বিক্রি একেবারে তলানিতে। দোকান খুললেও পাচ্ছেন না ক্রেতার দেখা। অলস সময় পার করছেন তারা।
নিউমার্কেটের দোকানি ইয়াসিন বলেন, দোকান খুললেও ক্রেতা নাই। লোকজন মার্কেটে তেমন আসে না। দু-একজন কাস্টমার পাই। ব্যবসার পরিস্থিতি একেবারেই খারাপ। গত কয়েক দিন ধরে এ অবস্থা।
চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের কাপড়ের দোকানের কর্মচারী সোহেল বলেন, কাস্টমার নাই। কী করমু! বইয়া আছি। সকাল থেইক্যা একটা কাপড়ও বেচতে পারি নাই। এমনে চললে কি হইবো!
Advertisement
আরও পড়ুন>> সায়েদাবাদ থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল প্রায় বন্ধ
একই অবস্থা গ্লোব শপিং কমপ্লেক্সে। ক্রেতা সমাগম নেই এ মার্কেটেও। মার্কেটের দোকানি শরিফুল বলেন, হরতাল-অবরোধে বিক্রি একেবারেই কম। কোনো রকম বিক্রি হয়। এমন চললে কয়েকদিন পর কর্মচারীদের বেতন দিতে কষ্ট হবে। এমনিতেই করোনার পর ব্যবসার পরিস্থিতি ভালো না। এভাবে হরতাল-অবরোধ চলতে থাকলে আমরা শেষ৷
এছাড়া প্রিয়াঙ্গণ শপিং কমপ্লেক্স এবং সায়েন্সল্যাব মোড়ের পাঞ্জাবির দোকানগুলোতেও একই অবস্থা দেখা গেছে। অধিকাংশ দোকানি ক্রেতার অপেক্ষায় আছেন। তবে ক্রেতা সমাগম কম। সড়কে গতকালের তুলনায় গাড়ির চাপ বেড়েছে। রাস্তায় টহল পুলিশসহ আনসার সদস্যদের দেখা গেছে।
এমএনএইচ/এমএইচআর/এএসএম
Advertisement