জাতীয়

হাসান সারওয়ার্দীকে প্রয়োজনে রিমান্ডে নেওয়া হবে: হারুন

সাভার থেকে গ্রেফতার সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে প্রয়োজনে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

Advertisement

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিবি কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি জানান, সারওয়ার্দীকে ডিবি কার্যালয়ে এনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে কী তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তা পরে জানানো হবে।

সারওয়ার্দীকে গ্রেফতারের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে ডিবিপ্রধান বলেন, গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশের দিন বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে পুলিশের ৪১ সদস্য আহত এবং এক সদস্য নিহত হন। ওইদিন সন্ধ্যায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা হাসান সারওয়ার্দী এবং বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের নেতৃত্বে কিছু সংবাদমাধ্যমের সামনে মিয়া আরেফী নামে একজনকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেওয়া হয়। মিয়া অরেফী বাংলাদেশের পুলিশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইন ও বিচার বিভাগের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের কাছে সুপারিশ করেছেন বলে বক্তব্য দেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী গ্রেফতার

ডিবিপ্রধান আরও বলেন, এ ঘটনায় মিয়া আরেফীকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান, আরেফী এসব বলতে চাননি। বাসা থেকে নিয়ে আসার সময় হাসান সারওয়ার্দী তাকে এসব কথা বলার জন্য শিখিয়ে দিয়েছিলেন। আর তাকে সহায়তা করেছেন ইশরাক ও অ্যাডভোকেট বেলাল নামে একজন।

আরেফীর এমন বক্তব্যের পর রাজধানীজুড়ে বাসে অগ্নিসংযোগসহ আরও বেশ কয়েকটি সহিংসতার ঘটনা ঘটে উল্লেখ করে হারুন অর রশীদ বলেন, এ ঘটনায় রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে পল্টন থানায় একটি মামলা (মামলা নম্বর-৫৬) দায়ের করা হয়েছে। আমরা এ মামলার দুই নম্বর আসামি সারওয়ার্দীকে গ্রেফতার করেছি।

ডিবিপ্রধান বলেন, আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনে তাকে রিমান্ডে নেবো। রিমান্ডে নিয়ে তারা কী ষড়যন্ত্র করেছিলেন জানার চেষ্টা করবো। তারা মিয়া আরেফীকে বিএনপি কার্যালয়ে নিয়ে দেশের বিরুদ্ধে, সরকারের বিরুদ্ধে, পুলিশ-আনসার-র্যাবের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে যে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন, সবকিছু আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্তারিত জানাবো।

Advertisement

আমেরিকার পাসপোর্টধারী মিয়া আরেফীর প্রকৃত নাম মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফী। তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়। শনিবার বিএনপির কার্যালয়ে মিথ্যা পরিচয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার পর রোববার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে তিনি দেশছাড়ার চেষ্টা করেন। তবে বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করে ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। তিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন।

টিটি/এমকেআর/এমএস