বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজ (৩২) নিহতের ঘটনায় গ্রেফতার শহিদুল্লাহ মুসুল্লী নামের একজনের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
Advertisement
মঙ্গলবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তের স্বার্থে তাদের সাতদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক মো. সালাহ উদ্দিন কাদের। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরির আদালত তাদের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে সোমবার পলাশবাড়ী স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শামীম ওরফে সিংটা শামীমকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তের স্বার্থে তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক মো. সালাহ উদ্দিন কাদের।
আরও পড়ুন>>> কনস্টেবল হত্যা: গ্রেফতার দুজনের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন
Advertisement
অন্যদিকে আসামিপক্ষ রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দারের আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ছিল। মহাসমাবেশ ঘিরে সকাল থেকেই নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল নামে। দুপুরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হলে এক পর্যায়ে মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।
সংঘর্ষ চলাকালে মাথায় আঘাত পেয়ে রাস্তায় পড়ে যান দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য আমিরুল। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আমিরুলের বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায়।
আরও পড়ুন>>> কনস্টেবল হত্যা: স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাসহ দুজন রিমান্ডে
Advertisement
এ ঘটনায় রোববার রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাসুক মিয়া বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রধান আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এছাড়া মামলায় বিএনপির শীর্ষ নেতাসহ ১৬৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
জেএ/এমআইএইচএস/জেআইএম