কোনো প্রয়োজন ছাড়া শখ করে কুকুর পোষা ইসলামে নিষিদ্ধ। তবে প্রয়োজন থাকলে যেমন বাড়িঘর, ক্ষেত-খামার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা, অপরাধের উৎস অনুসন্ধান বা অপরাধী চিহ্নিত করা, শিকার করার জন্য কুকুর পোষা বৈধ। রাসুল সা. বলেছেন,
Advertisement
مَنِ اقْتَنَى كَلْبًا، لَيْسَ بِكَلْبِ صَيْدٍ، وَلَا مَاشِيَةٍ، وَلَا أَرْضٍ، فَإِنّهُ يَنْقُصُ مِنْ أَجْرِهِ قِيرَاطَانِ كُلّ يَوْمٍ.যে ব্যক্তি শিকার করা বা গবাদি পশু অথবা শস্যক্ষেত পাহারা দেওয়ার উদ্দেশ্য ছাড়া কুকুর পোষে ওই ব্যক্তির প্রতিদিন দুই কিরাত পরিমাণ নেকি হ্রাস পায়। (সহিহ মুসলিম: ১৫৭৫)
এ হাদিস এবং আরও কিছু হাদিসে সওয়াবের পরিমাণ বোঝাতে ‘কিরাত’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। এ হাদিসের ব্যাখ্যায় ‘কিরাত’ শব্দের অর্থ সম্পর্কে ইমাম নববি (রহ.) লিখেছেন, ‘কিরাত একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ যা আল্লাহ তাআলা জানেন।’ অর্থাৎ বিনা প্রয়োজনে কুকুর পুষলে আমলনামা থেকে আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী কিছু পরিমাণ সওয়াব কমে যেতে পারে।
তবে আল্লাহর সৃষ্টি হিসেবে সব জীবজন্তুর মতোই কুকুরের প্রতি দয়া করা, কুকুরকে খাবার-পানি দেওয়া, কোনো বিপদে পড়লে উদ্ধার করা সওয়াবের কাজ। বিপজ্জনক বা ক্ষতিকর না হয়ে উঠলে কুকুরকে কোনোভাবে কষ্ট দেওয়া, হত্যা করা গুনাহের কাজ। হাদিসে এসেছে বনি ইসরাইলের এক ব্যভিচারী নারী কুকুরকে পানি পান করানোর কারণে আল্লাহর ক্ষমা লাভ করেছিল। রাসুল (সা.) বলেন, একবার এক তৃষ্ণার্ত কুকুর কূপের পাশে ঘোরাঘুরি করছিল। তৃষ্ণায় তার প্রাণ বের হওয়ার উপক্রম হয়। বনি ইসরাইলের এক ব্যভিচারী নারী তা দেখতে পেয়ে নিজের পায়ের মোজা খুলে মোজায় পানি ভরে কুকুরটিকে পানি পান করায়। এ কারণে তার আগের সব পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। (সহিহ বুখারি: ৩৪৬৭)
Advertisement
ওএফএফ/এমএস