আদানির চাপে পড়েই বিরোধী সংসদ সদস্যদের ফোন ও ইমেল হ্যাক করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) মহুয়া মৈত্র, শশী থারুর, প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীসহ বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্যের ফোনে নজরদারি চালানোর অভিযোগ ওঠে।
Advertisement
এরই মধ্যে এই ঘটনায় স্পিকারকে চিঠি দেবেন বলে জানিয়েছেন মহুয়া। হ্যাকিংয়ের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরে সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল বলেন, সরকারের ‘বন্ধু’ আদানিদের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন বলেই এই সংসদ সদস্যদের নিশানা করা হচ্ছে। তবে কংগ্রেস নেতার দাবি, ফোনে নজরদারি চালালেও তারা ভয় পান না।
আরও পড়ুন>ভিসা ছাড়াই থাইল্যান্ড ভ্রমণ করতে পারবেন ভারতীয়রা
মঙ্গলবার সকালেই একটি টুইট করে মহুয়া জানান, তার ফোন ও ইমেল হ্যাক করার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, অ্যাপেল থেকে আমার কাছে একটি নোটিফিকেশন এসেছে। সেখানেই সাফ বলা হয়, রাষ্ট্রের মদতপুষ্ট সংস্থাগুলো আমার আইফোন হ্যাক করার চেষ্টা করছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কি কোনো কাজ নেই? মহুয়ার টুইট থেকেই জানা যায়, শশী থারুর, অখিলেশ যাদব, রাঘব চাড্ডা, প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী সবার ফোনেই নজরদারি চালাচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।
Advertisement
বিস্ফোরক অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরেই সাংবাদিক সম্মেলন করেন রাহুল গান্ধী। সেখানেই সরাসরি আদানির দিকে আঙুল তোলেন। সাফ জানিয়ে দেন, আসলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হচ্ছেন আদানি। তার পরে রয়েছেন মোদী-শাহরা। আদানির চাপেই সংসদ সদস্যদের ফোন হ্যাক করা হচ্ছে। যারাই আদানির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে বেছে বেছে তাদেরই ফোন, ইমেলে হ্যাকিং চলছে। তবে রাহুলের দাবি, দরকার পড়লে নিজেদের ফোন দিয়ে দেবেন। কিন্তু নজরদারি চালিয়ে কোনো লাভ হবে না।
আরও পড়ুন>চার দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি বাতিল করছে যুক্তরাষ্ট্র
ঘটনার তীব্র নিন্দা করে টুইট করেছে তৃণমূল। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে দেশে। এই ভারতকে আমরা চিনি না। হ্যাকিং বিতর্কে মুখ খুলেছেন অখিলেশও। এদিন তার ফোনেও ঢুকেছে হ্যাকিংয়ের চেষ্টার নোটিফিকেশন। সমাজবাদী পার্টির নেতা বলেন, গণতন্ত্রে এমন কাজের কোনো জায়গা নেই। এই ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত।
এমএসএম
Advertisement