দেশে আলুর উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকা সত্ত্বেও যৌক্তিক কারণ ছাড়াই আলুর দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এমন ঘোষণার পর ১৫ প্রতিষ্ঠান আলু আমদানির অনুমতি চেয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি অনুবিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিডিএস করপোরেশন ৫০০ মেট্রিক টন, তরফদার এল এন্টারপ্রাইজ ৫০০ মেট্রিক টন, আর বি ট্রেডিং ২ হাজার মেট্রিক টন, এস এন অ্যান্ড কোং ১০ হাজার মেট্রিক টন, জে এস ট্রেডিং ১০ হাজার মেট্রিক টন, এস এন করপোরেশন ১০ হাজার মেট্রিক টন, প্যারাডাইস কানেকশন ১০ লাখ মেট্রিক টন, মেসার্স কারিমা কনসাইনমেন্ট ১০ লাখ মেট্রিক টন, অ্যাড কম ইন্টারন্যাশনাল ১০ হাজার মেট্রিক টন আমদানির অনুমতি চেয়েছে। এছাড়া আরও ছয়টি প্রতিষ্ঠান আলু আমদানির অনুমতি চেয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত এসব প্রতিষ্ঠান আলু আমদানির অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছে। আবেদনগুলোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কৃষি মন্ত্রণালয়।
Advertisement
আরও পড়ুন>> হিমাগারে ২৬-২৭ টাকায় আলু বিক্রি নিশ্চিতে ডিসিদের নির্দেশ
এর আগে সোমবার (৩০ অক্টোবর) সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রি না হওয়া এবং বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বাজারে আলু সরবরাহ বৃদ্ধি ও মূল্য স্থিতিশীল রাখতে আমদানির অনুমতি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে আলুসহ তিন পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দেন। কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে ২৬-২৭ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৩৫-৩৬ টাকা মূল্যে বিক্রির জন্য ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এসময় নির্ধারিত মূল্যে বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে কি না তা মনিটরিং করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসনসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে নির্দেশ দেন টিপু মুনশি। কিন্তু নির্ধারিত মূল্যে কোল্ড স্টোরেজ ও খুচরা কোনো পর্যায়েই আলু বিক্রি হচ্ছে না বলে জানানো হয়।
Advertisement
সংশ্লিরা বলছেন, কোনো কোনো মহল আলুর বাজার অস্থিতিশীল করার অপতৎপরতায় লিপ্ত আছে বলে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে বাজারে আলুর পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিতে এবং সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমদানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আইএইচআর/ইএ/জিকেএস