রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিসান বেকারিতে জঙ্গি হামলা ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় করা মামলায় সাত জঙ্গি সদস্যের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।
Advertisement
সোমবার (৩০ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের রায়ের পর নৃশংস ওই হামলার বিষয়ে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
খন্দকার মঈন বলেন, ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিসান বেকারিতে নৃশংস জঙ্গি হামলা সংগঠিত হয়। একদল বিপথগামী জঙ্গি সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে এবং বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। র্যাব তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রাথমিক পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয় এবং মূল অভিযান তৈরির ক্ষেত্র প্রস্তুত করে। পরে যৌথ অভিযানে ঘটনাস্থলে হামলাকারী পাঁচ জঙ্গি নিহত হন।
Advertisement
আরও পড়ুন>> হলি আর্টিসান মামলা: ৭ জঙ্গির সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড
তিনি বলেন, হলি আর্টিসান হামলার মূল পরিকল্পনাকারী, অর্থ ও অস্ত্র জোগানদাতাদের আইনের আওতায় আনতে র্যাব কার্যক্রম শুরু করে। ২০১৬ সালের অক্টোবরে র্যাবের একটি অভিযানে তৎকালীন জেএমবির প্রধান ও হলি আর্টিসান হামলার মূল পরিকল্পনাকারী সরোয়ার জাহান পালাতে গিয়ে ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে নিহত হন। ২০১৯ সালের ১৯ জানুয়ারি র্যাবের অভিযানে গ্রেফতার হন জেএমবির সূরা সদস্য এবং হলি আর্টিসান হামলাকারী জঙ্গিদের অর্থায়ন, অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন।
খন্দকার আল মঈন বলেন, আজ হাইকোর্ট মামুনুর রশীদকে আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদান করেন। ২০১৯ সালের ২৫ জানুয়ারি র্যাবের আরেকটি অভিযানে গ্রেফতার হন শীর্ষ জঙ্গি নেতা শরিফুল ইসলাম ওরফে খালিদ। তিনি হামলাকারীদের প্রশিক্ষণ প্রদান ও প্রশিক্ষণ পরবর্তী হামলাকারীদের নির্বাচনের মূল ভূমিকা পালন করেন। আজ তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
এছাড়াও র্যাবের অভিযানেই বন্ধ হয় হলি আর্টিসানের বীভৎস ছবি তাৎক্ষণিক প্রচার করা ‘আত-তামকীন’ ওয়েবসাইট এবং ওয়েবসাইটটির অ্যাডমিনসহ হামলায় জড়িত অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
Advertisement
আরএসএম/ইএ/জিকেএস