প্রস্তাবিত নতুন একটি প্রকল্পে দুটি খাতে সম্মানী ভাতা বাবদ ৩৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার আবদার করা হয়েছে। এছাড়া কোনো ক্রয় পরিকল্পনা ছাড়াই প্রকল্পের আওতায় চাওয়া হয়েছে ২৭২ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত ‘শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ, হবিগঞ্জ স্থাপন’ প্রকল্পের আওতায় এমন আবদার করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। তবে এমন আবদারের কোনো যৌক্তিকতা খুঁজে পাচ্ছে না পরিকল্পনা কমিশন। ফলে প্রকল্প থেকে অযৌক্তিক দাবি ছেঁটে ফেলে যৌক্তিকভাবে পুনরায় প্রকল্প প্রস্তাবের সুপারিশ করেছে কমিশন।
Advertisement
প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভার আগে কার্যপত্র তৈরি করেছে পরিকল্পনা কমিশন। কার্যপত্রে উঠে এসেছে প্রকল্পে নানা অসঙ্গতির চিত্র। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কমিশন।
আরও পড়ুন: সড়ক নির্মাণে রেকর্ড খরচ, প্রতি কিমিতে ব্যয় ২৯৬ কোটি টাকা
পরিকল্পনা কমিশন জানিয়েছে, প্রকল্পের পণ্য, পূর্ত ও সেবা খাতে মোট এক হাজার ৩২৮ কোটি ২৬ লাখ টাকার ক্রয় পরিকল্পনায় উল্লেখ হয়েছে। মোট প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৬০১ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এ হিসাবে অবশিষ্ট ২৭২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ক্রয় পরিকল্পনা বহির্ভূত। এ বিষয়ে সভায় বিস্তারিত আলোচনা করে প্রকল্প ব্যয় যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনতে হবে। প্রস্তাবিত প্রকল্পে একটি খাতে ১৩ লাখ এবং অন্য একটি খাতে ২১ লাখ ৬০ হাজার টাকার সম্মানী ভাতার আবদার করা হয়েছে। সম্মানী ভাতা দেওয়া অথবা এটি যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনার সুপারিশ করা হয়েছে।
Advertisement
প্রকল্পের পণ্য, পূর্ত ও সেবা খাতে মোট এক হাজার ৩২৮ কোটি ২৬ লাখ টাকার ক্রয় পরিকল্পনায় উল্লেখ হয়েছে। মোট প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৬০১ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এ হিসাবে অবশিষ্ট ২৭২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ক্রয় পরিকল্পনা বহির্ভূত।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, তিন বছর মেয়াদের এ প্রকল্পের জন্য আপ্যায়ন খরচ বাবদ পাঁচ লাখ, ডাক বাবদ এক লাখ ২০ হাজার, শ্রমিক মজুরি বাবদ ১৫ লাখ, নিবন্ধন ফি ২০ লাখ, ব্যাংক চার্জ দুই লাখ, অভ্যন্তরীণ ভ্রমণ ব্যয় পাঁচ লাখ এবং স্টেশনারি খরচ বাবদ ১০ লাখ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্পের আইটেমগুলোর ব্যয় অত্যধিক বলে প্রমাণিত হয়েছে। এসব ব্যয় কমাতে পুনরালোচনার তাগিদ দিয়েছে কমিশন।
প্রকল্পের জন্য একটি মোটরযান ক্রয় বাবদ ৫৭ লাখ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। মোটরযানের জন্য পেট্রোল ওয়েল ও লুব্রিকেন্ট বাবদ ১০ লাখ এবং মোটরযান মেরামত ও সংরক্ষণ বাবদ পাঁচ লাখ টাকার প্রস্তাব রয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিপত্র মোতাবেক সব ধরনের যানবাহন ক্রয় স্থগিত রয়েছে। তবে জনবল কমিটির রিপোর্টে একটি পরিবহন সেবা ক্রয়ের সুপারিশ রয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে পেট্রোল ওয়েল ও লুব্রিকেন্ট বাবদ ১০ লাখ এবং মোটরযান মেরামত ও সংরক্ষণ বাবদ পাঁচ লাখ টাকা বাদ দেওয়া যেতে পারে মর্মে সুপারিশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রেলপথ নির্মাণে বাঁকে বাঁকে অনিয়ম
Advertisement
পরিকল্পনা কমিশন জানায়, প্রকল্পে স্থানীয় প্রশিক্ষণ বাবদ ২৪০ জনের বিপরীতে ৪৮ লাখ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। কাদের জন্য এবং কী বিষয়ে প্রশিক্ষণ তা প্রকল্পের ব্যয় প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়নি। কমিশন মনে করে, এ প্রস্তাবটি বাদ দেওয়া যৌক্তিক হবে। চিকিৎসা ও শল্য চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বাবদ ৩৬ লাখ ৪০ হাজার এবং রাসায়নিক বাবদ ৫০ লাখ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার পর এটি দরকার হয় বিধায় রাজস্ব খাতের আওতায় কেনা যেতে পারে। এ অবস্থায় এ দুটি খাত প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়া সমীচীন হবে বলে মনে করে কমিশন।
৩২৮ কোটির প্রকল্পে সম্মানী ভাতা চাওয়া হয়েছে ৩৩ লাখ টাকা
এছাড়া মূল্য সংযোজন কর খাতে ৫০ লাখ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রত্যেক আইটেমে মূল্য সংযোজন কর সংযুক্ত থাকে বিধায় এক্ষেত্রে ৫০ লাখ টাকা বাদ দেওয়া যেতে পারে। প্রকল্পে ১০০টি কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক বাবদ ৮৫ লাখ টাকা এবং তিনটি কম্পিউটার মেরামত ও সংরক্ষণ বাবদ এক লাখ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে প্রচুর সংখ্যক কম্পিউটারের ব্যয় বিভাজনসহ এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে (ডিপিপি) কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
প্রকল্পের জন্য আপ্যায়ন খরচ বাবদ পাঁচ লাখ, ডাক বাবদ এক লাখ ২০ হাজার, শ্রমিক মজুরি বাবদ ১৫ লাখ, নিবন্ধন ফি ২০ লাখ, ব্যাংক চার্জ দুই লাখ, অভ্যন্তরীণ ভ্রমণ ব্যয় পাঁচ লাখ এবং স্টেশনারি খরচ বাবদ ১০ লাখ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রকল্পের আওতায় মেডিকেল কলেজের জন্য চার হাজার ১০৩টি আসবাবপত্র বাবদ চার কোটি ৫৫ লাখ, হাসপাতালের জন্য ৭৯৬টি আসবাবপত্র বাবদ এক কোটি ৩৪ লাখ, নার্সিং কলেজের জন্য এক হাজার ১৪টি আসবাবপত্র বাবদ ৯৭ লাখ এবং প্রকল্প অফিসের জন্য ৪৫টি আসবাবপত্র বাবদ ছয় লাখ ৮৪ হাজার টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। সামগ্রিকভাবে, এ প্রকল্পের জন্য পাঁচ হাজার ৯৫৮টি আসবাবপত্র বাবদ ছয় কোটি ৯৫ লাখ ২৪ হাজার টাকার ব্যয় বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচিত হলে ফরিদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় করে দেবো: প্রধানমন্ত্রী
ডিপিপি পর্যালোচনা শেষে দেখা গেছে, কোনো কোনো আসবাবপত্রের অত্যধিক দাম ধরা হয়েছে। বাজারদর অনুযায়ী এ ব্যয় নির্ধারণ করা হয়নি। সভায় এ বিষয়ে আলোচনার সুপারিশ করেছে পরিকল্পনা কমিশন।
বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি বাবদ ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ১৩২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। রেট শিডিউল-২০২২ (সংশোধনী) মোতাবেক নির্ধারণ করা হলেও এ সংক্রান্ত বিবরণ ডিপিপিতে পাওয়া যায়নি। কলেজের জন্য এক হাজার ২২৯টি যন্ত্রপাতি বাবদ ছয় কোটি ৭২ লাখ, হাসপাতালের জন্য ১১ হাজার ৪৪০টি যন্ত্রপাতি বাবদ ১২৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা ও নার্সিং কলেজের জন্য ৮৮৭টি যন্ত্রপাতি বাবদ এক কোটি ৪১ লাখ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে।
‘আগের প্রকল্প যেভাবে পাস হয়েছে একইভাবে এ প্রকল্পের প্রস্তাবনা করা হয়েছে। আমরা সবকিছু বিশ্লেষণ করেই প্রকল্পের ব্যয় প্রস্তাবনা দিয়েছি। সরকার অবজারভেশন দিতেই পারে। আমরাও এর উত্তর বা যৌক্তিকতা তুলে ধরতে পারবো’- স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো. জামাল।
এ প্রকল্পে মোট ১৩ হাজার ৫৫৬টি যন্ত্রপাতি বাবদ ১৩৭ কোটি ৭২ লাখ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবিত ব্যয় প্রাক্কলনের ভিত্তি এবং সংখ্যা/পরিমাণের যৌক্তিকতা জানা প্রয়োজন। ব্যয়গুলো অত্যধিক মর্মে প্রতীয়মান বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।
প্রকল্পের বাড়তি ব্যয় নিয়ে পরিকল্পনা কমিশনের পর্যবেক্ষণ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো. জামাল জাগো নিউজকে বলেন, সারাদেশে প্রধানমন্ত্রীর নামে চারটি মেডিকেল কলেজ হবে। ‘শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ, হবিগঞ্জ স্থাপন’ প্রকল্প সব শেষে অনুমোদন পেয়েছে। আমরা এরই মধ্যে প্রকল্পের প্রস্তাবনা পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছি। তবে পিইসির (প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি) সভা হয়নি।
আরও পড়ুন: বরাদ্দের টাকা খরচ না করে আরও ২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা আবদার
অযৌক্তিক খাত বা অতিরিক্ত ব্যয় প্রস্তাব বিষয়ে তিনি বলেন, আগের প্রকল্প যেভাবে পাস হয়েছে একইভাবে এ প্রকল্পের প্রস্তাবনা করা হয়েছে। আমরা সবকিছু বিস্তারিত বিশ্লেষণ করেই প্রকল্পের ব্যয় প্রস্তাবনা দিয়েছি। সরকার অবজারভেশন দিতেই পারে। আমরাও এর উত্তর বা যৌক্তিকতা তুলে ধরতে পারবো।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর জানায়, ১ জুলাই ২০২৩ থেকে ৩০ জুন ২০২৬ সাল নাগাদ এ প্রকল্পের মেয়াদ। প্রকল্পের মোট প্রস্তাবিত ব্যয় এক হাজার ৬০১ কোটি ২৪ লাখ টাকা। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে তিন বছর মেয়াদে প্রকল্পটি হবিগঞ্জ সদরে বাস্তবায়ন করা হবে।যেখানে ৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০ একর ভূমি অধিগ্রহণ এবং ৪১ কোটি টাকা ব্যয়ে ভূমি উন্নয়ন করা হবে।
প্রকল্পের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য: হবিগঞ্জ জেলা ও তৎসংলগ্ন এলাকার জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। সেসব অঞ্চলের প্রায় দুই কোটি আট লাখ ৯০ হাজার মানুষের জন্য আধুনিক ও বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবা দিতে এবং অসুস্থতা ও মৃত্যুহার হ্রাস করে জীবনমান উন্নত করতেই এ প্রকল্প। এছাড়া মেডিকেল শিক্ষা ও নার্সিং শিক্ষাকে সম্প্রসারণ করে দক্ষ ও মানসম্মত চিকিৎসক ও নার্স তৈরি করা হবে। ‘শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ হবিগঞ্জ স্থাপন’র ফলে প্রতি বছর মানসম্মত ৫০ জন চিকিৎসক ও ১০০ জন নার্স তৈরি হবে।
আরও পড়ুন: ৬৭ লিফটে ৯৬ কোটি টাকার প্রস্তাব, কমিশনের প্রশ্ন
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর জানায়, নানা কারণে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হচ্ছে। সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা এবং এসডিজির (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) অভীষ্ট-৩ অর্জনের লক্ষ্যে সরকার দেশের ছয়টি জেলায় একটি করে নতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। এ ছয় জেলা হলো- নেত্রকোনা, নীলফামারী, নওগাঁ, হবিগঞ্জ, মাগুরা এবং রাঙামাটি। হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজটি ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, যা বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে অস্থায়ীভাবে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
আসবাবপত্রের অত্যধিক দাম ধরা হয়েছে, যা বাজারদরের সঙ্গে অনেকাংশে মিল নেই
সিলেট বিভাগের জেলাসমূহের মধ্যে হবিগঞ্জ একটি জনবহুল জেলা। এ জেলার জনসংখ্যা ২৩ লাখ ৫৮ হাজার ৮৮৬ জন। সিলেট জেলার পরই এ জেলার জন্মহার, শিশুমৃত্যু হার, গড় আয়ু, মাতৃমৃত্যু হার ইত্যাদি সূচকগুলো তুলনামূলক বেশি। হবিগঞ্জ জেলার মানুষের স্বাস্থ্যসেবার জন্য সিলেটের টারশিয়ারি লেভেলের হাসপাতালের ওপর বহুলাংশে নির্ভর করতে হয়। হবিগঞ্জ জেলায় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রয়োজন টারশিয়ারি লেভেলের চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এ প্রেক্ষাপটে সরকারের উদ্যোগের অংশ হিসেবে ‘শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ, হবিগঞ্জ স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পটি সম্পূর্ণ জিওবি (উন্নয়ন প্রকল্পে সরকারি তহবিল) অর্থায়নে বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশনের মতামত: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে এ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। সমীক্ষা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রকল্পের জন্য প্রস্তাবিত ৩০ একর জমি, যা রাস্তা থেকে ১২-১৫ ফুট নিচে। দোফসলি এ জমির ৪ থেকে ৫ একর অংশে জলাধার ও খালবিল রয়েছে। জমি অধিগ্রহণে ৯০ কোটি ও জমি ভরাট বা ভূমি উন্নয়ন বাবদ ৪১ কোটি ৯১ লাখ টাকার ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে। ভূমির ধরন-প্রকৃতি বিবেচনায় প্রকল্পের সাইট পরিবর্তন করা যায় কি না সে বিষয়ে পিইসি সভায় আলোচনা করা যেতে পারে। অধিকন্তু, ভূমি উন্নয়ন বাবদ প্রস্তাবিত ব্যয় কমাতে হবে।
আরও পড়ুন: করোনা টিকা প্রকল্পেও গাড়ি বিলাস, আবদার ২৩ কোটি টাকা
প্রকল্পের আপ্যায়ন ভাতা ও পরিকল্পনা বহির্ভূত ২৭২ কোটি টাকার প্রস্তাব প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জাগো নিউজকে বলেন, পিইসি সভায় বিষয়গুলোর চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হয়। যেটা রাখার সেটা রাখা হয়, বাদ দেওয়ার হলে বাদ দেওয়া হয়। এসব প্রস্তাবনা কয়েক ধাপ পেরিয়ে আমার নজরে আসে। প্রস্তাবিত ব্যয়গুলো অবশ্যই যৌক্তিকভাবে কমানো হবে। প্রকল্পের অপচয় ও খরচ কমাতে আমাদের মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
এমওএস/এমকেআর/এএসএম