দেশজুড়ে

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পুলিশ সদস্য আমিরুলের দাফন

মানিকগঞ্জে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় চির নিদ্রায় শায়িত হলেন নিহত পুলিশ সদস্য আমিরুল ইসলাম পারভেজ।

Advertisement

রোববার (২৯অক্টোবর) সন্ধ্যায় দৌলতপুর উপজেলা পিএস উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় স্থানীয় কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।

শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ছিল। মহাসমাবেশ ঘিরে সকাল থেকেই নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল নামে। দুপুরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হলে এক পর্যায়ে মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।

সংঘর্ষ চলাকালে ফকিরাপুলের বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় মাথায় আঘাত পেয়ে রাস্তায় পড়ে যান দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য আমিরুল। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আমিরুলের বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারি গ্রামে। তিনি পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটে কর্মরত ছিলেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত পুলিশ সদস্যের বাড়িতে শোকের মাতম

রোববার দুপুরে রাজারবাগে তার প্রথম জানাজা হয়। বিকেলে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে একনজর দেখার জন্য ভিড় জমান সর্বস্তরের মানুষ। তার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান স্থানীয় সংসদ সদস্য এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয়, জেলা প্রশাসক রেহেনা আক্তার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান, উপজেলা প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতাসহ বিভিন্ন সংগঠন।

আমিরুল ইসলাম পারভেজ ২০০৯ সালে যোগ দেন পুলিশে। স্ত্রী রুমা আক্তার আর ছয় বছরের একমাত্র কন্যা সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় থাকতেন। যমুনা নদীতে বাড়ি বিলীন হয়ে যাওয়ার পর বৃদ্ধ বাবা-মা ও ছোট ভাই পার্শ্ববর্তী উপজেলা নাগরপুরের দপ্তিয়র এলাকায় ভাড়া জায়গায় বসবাস করতেন।

বি.এম খোরশেদ/এসজে

Advertisement