দেশজুড়ে

হরতালের কারণে কুয়াকাটায় বাতিল হচ্ছে অগ্রিম বুকিং

বিএনপির পর জামায়াতের ডাকা রোববার (২৯ অক্টোবর) সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের প্রভাব পড়েছে সাগরকন্যাখ্যাত কুয়াকাটায়। হরতাল ঘোষণার পর বাতিল হচ্ছে হোটেলের অগ্রিম বুকিং।

Advertisement

শনিবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যার পরে কুয়াকাটা বেশ কয়েকটি হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বিএনপি ও জামায়াতের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে এমনিতেই এ সপ্তাহে পর্যটকদের আনাগোনা কম ছিল। এরপরেও কিছু বুকিং ছিল। তবে হরতাল ঘোষণার পরপরই বুকিংগুলো বাতিল হতে শুরু করে।

হোটেল রেইন ড্রপসের পরিচালক দীপঙ্কর রায় দিপু বলেন, শুক্রবারের (২৭ অক্টোবর) পরে এমনিতেই তেমন বুকিং ছিল না। মাত্র দুটি রুম অগ্রিম বুকিং হয়েছিল। তবে হরতাল ঘোষণার পর সেগুলো বাতিল করেছে।

Advertisement

হোটেল খান প্যালেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল খান জানান, শুক্রবার থেকে অগ্রিম কোনো বুকিং হয়নি। মাত্র ১০ শতাংশ রুমে পর্যটক ছিল। তারা আগামী দুদিন থাকবে। তবে শনিবার এত কম বুকিং কখনো হয়নি।

কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল এম এ মোতালেব শরীফ জানান, শুক্রবারের পরে দুইদিন কুয়াকাটায় পর্যটক থাকে। কিন্তু গতকাল (২৭ অক্টোবর) থেকেই পর্যটক কম। যারা ছিল তাদের অনেকই আজ হরতাল ঘোষণার পর গন্তব্যে ফিরে যাচ্ছেন। আর যেসব হোটেলে অগ্রিম বুকিং ছিল তারাও বুকিং বাতিল করেছে।

ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সেক্রেটারি জেনারেল জহিরুল ইসলাম জানান, পর্যটন মৌসুমের শুরুতে আমরা একটা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে রাজনৈতিক দলগুলো স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় রাখবে। এভাবে চললে পুরো মৌসুমে মুখ থুবড়ে পড়বে পর্যটন ব্যবসা।

আসাদুজ্জামান মিরাজ/এএইচ/জিকেএস

Advertisement