আন্তর্জাতিক

গাজা সংকটের মধ্যেই ইরানের সামরিক মহড়া

ইরানের সামরিক বাহিনী দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় ইসফাহান প্রদেশে বড় আকারের সামরিক মহড়ার চালিয়েছে। এতে দেশীয়ভাবে তৈরি উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়।

Advertisement

দুই দিনের এই মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছে ইকতেদার বা কর্তৃপক্ষ- ১৪০২। প্রদেশের নাসরাবাদ অঞ্চলে মহড়ার মূল পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। স্থল বাহিনীর মোবাইল অ্যাসল্ট ব্রিগেড, সাঁজোয়া ডিভিশন এবং হেলিকপ্টার স্কোয়াড্রন মহড়ায় অংশ নেয়। এসময় ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আট থেকে ২০ কিলোমিটার দূরের নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়।

আরও পড়ুন>গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলা আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী: রাশিয়া

দেহলভিয়েহ টুইন-আর্ম লেজার-গাইডেড মিসাইল লঞ্চার সম্প্রতি স্থল বাহিনীর এম-১১৩ আর্মর্ড পারসোনেল ক্যারিয়ারে বসানো হয়েছে। ইরানের সামরিক বিশেষজ্ঞরা দেহলভিয়েহ ক্ষেপণাস্ত্রের স্থল ও আকাশ উভয় সংস্করণের পরিসীমা ৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার থেকে ৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়িয়েছেন।

Advertisement

ইরানি বাহিনী মহড়ার সময় শাফাক ক্ষেপণাস্ত্রের এয়ার-বেইজড ভার্সনও চালু করেছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি শব্দের চেয়ে ২ দশমিক ২ গতিতে চলতে পারে এবং ৫০ কিলোগ্রাম ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম। এই ক্ষেপণাস্ত্র ২০ কিলোমিটারের মধ্যকার লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে সক্ষম।

আরও পড়ুন>বিস্তৃত স্থল অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েল, বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন গাজা

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যখন ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বরতা চলছে এবং যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়ে যুদ্ধের হুমকি দিচ্ছে তখন এই মহড়া অনুষ্ঠিত হলো। ইরান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, গাজায় বর্বরতা বন্ধ না হলে যুদ্ধ বৃহৎ অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়বে।

সূত্র: প্রেসটিভি

Advertisement

এমএসএম