আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি সমাবেশের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে রাজধানীর কয়েকটি স্থানে ত্রিমুখী সংঘর্ষে (আওয়ামী লীগ-বিএনপি-পুলিশ) বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী আহত হয়েছেন।
Advertisement
শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত হন ঢাকা টাইমসের প্রতিবেদক সিরাজুম সালেকীন। তাকে চিকিৎসার জন্য জাতীয় অর্থপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) নেওয়া হয়েছে। নিউ এইজ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি আহমেদ ফয়েজ আহত হয়েছেন।
এছাড়া আহতাবস্থায় দৈনিক কালবেলার প্রতিবেদক রাফসান জানিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। গ্রীন টিভির বিশেষ প্রতিনিধি রুদ্র সাইফুল্লাহ ও ক্যামেরাম্যান আরজু, ব্রেকিং নিউজের কাজী ইহসান বিন দিদার, আহসান হাবিব সবুজ, ইনকিলাবের ফটোসাংবাদিক এফ এ মাসুম, বাংলা ট্রিবিউনের সালমান তারেক শাকিল, ইত্তেফাকের আবু নাসের, ঢাকা টাইমসের সালেকিন, বাংলানিউজের জাফর আহমেদ, দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার চিফ ফটোসাংবাদিক মো. মেহরাজ, ফ্রিল্যান্সার মারুফসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। অন্য আহত সাংবাদিকরা আশপাশের হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
রাফসানের সঙ্গে থাকা কালবেলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রাজন ভট্টাচার্য জানান, কাকরাইল মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ চলাকালে ভিডিও ফুটেজ নিচ্ছিলেন সাংবাদিক রাফসান জানি। পুলিশের ওপর হামলার এ ফুটেজ সংগ্রহকালে দুষ্কৃতকারীরা রাফসানের ওপর হামলা চালায়।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, এ সময় রাফসানের গলায় কালবেলার আইডি কার্ড ঝুলানো থাকলেও তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। হামলায় তার পুরো শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। তার মোবাইল ফোনটিও ছিনিয়ে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। তার অবস্থা গুরুতর।
এ হামলার ঘটনায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল ও সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদসহ কার্যনির্বাহী কমিটি তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি এ ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
টিটি/এনএইচ/এমএএইচ/এএসএম
Advertisement