এশিয়া কাপের মাঝপথ থেকেই ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে। যে ইনজুরির কারণে এশিয়া কাপের অর্ধেক, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব এবং মূল পর্বের প্রথম ম্যাচটাও খেলতে পারেননি তিনি। সর্বনাশা ইনজুরি তাকে ঘ্রাস করে নিচ্ছে ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই। তবে, তাসকিন-সানির নিষেধাজ্ঞার কারণে হালকা ইনজুরি সত্ত্বেও বিশ্বকাপের মাঝ পথে আবারও দলে ফিরলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথমবারেরমত জাতীয় দলের জার্সি গায়ে নামেন মাঠে। ওই ম্যাচেই স্টিভেন স্মিথকে বোল্ড এবং মিচেল মার্শকে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছিলেন তিনি। ভারতের বিপক্ষেও ছিলেন একই রূপে। বোল্ড করেছিলেন রোহিত শর্মা এবং রবিন্দ্র জাদেজাকে। দুই ম্যাচ থেকে চার উইকেট তুলে নিলেও নিজের সেরাটা যেন লুকিয়ে রেখেছিলেন তিনি শেষ ম্যাচের জন্য। কলকাতার ইডেন গার্ডেনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ২২ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। যার চারটিই বোল্ড। কেন উইলিয়ামসনের মত ব্যাটসম্যান পর্যন্ত বোল্ড হয়ে ফিরেছেন তার বলে। এবারের বিশ্বকাপে সেরা পরাফরম্যান্স করলেন মুস্তাফিজ। একই সঙ্গে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বকনিষ্ট বোলার হিসেবে নিলেন ৫ উইকেট। বিশ্বকাপের বাংলাদেশের অনকে অপ্রাপ্তির মাঝে যেন প্রাপ্তি হচ্ছে মুস্তাফিজের বোলিং। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ ৭৫ রানের লজ্জার হারে ডুবলেও মুস্তাফিজই যেন সব আলো কেড়ে নিয়েছিলেন। এ কারণেই দেশে ফেরার পর দলের অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম তাকে বর্ণনা করলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটের আশার আলো’ হিসেবে।নিজের ফেসবুক পেজে মুশফিক মুস্তাফিজের একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘সব বাধার মধ্যেও আশার আলো আমাদের মুস্তাফিজ (Despite all the negativity, Mustafiz gives us a lot of hope for the future!)।’খুলনায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে মুশফিক গিয়েছিলেন মুস্তাফিজের বাড়িতে। সেখানে তার মা বাবাসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ছবি তুলে মুশফিক লিখেছিলেন, ‘আল্লাহর কাছে প্রার্থণা, আমি যেন মুস্তাফিজের মত বড় তারকা হতে পারি।’ এবার আবারও মুস্তাফিজের প্রশংসা করলেন তিনি।আইএইচএস/এবিএস
Advertisement