ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে, তাদের সৈন্যরা হামাসের এক শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করেছে। বিমান হামলা চালিয়ে আসেম আবু রাকাবা নামের ওই শীর্ষ নেতাকে হত্যা করা হয়েছে বলে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়।
Advertisement
এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন আবু রাকাবা। তবে তার মৃত্যুর বিষয়ে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের পক্ষ থেকে কিছু নিশ্চিত করা হয়নি।
আরও পড়ুন: গাজায় ২৪ ঘণ্টায় জাতিসংঘের ১৪ কর্মী নিহত
এদিকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় জাতিসংঘের অন্তত ১৪ জন কর্মী নিহত হয়েছেন। এই নিয়ে গত তিন সপ্তাহে গাজায় জাতিসংঘের নিহত কর্মীর সংখ্যা ৫৩ জনে পৌঁছালো।
Advertisement
শনিবার (২৮ অক্টোবর) জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহায়তা বিষয়ক সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ ওয়ার্ক এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজি (আনরোয়া) শনিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর গত ২১ দিনের বোমা বর্ষণে গাজায় ঘরবাড়ি হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন অন্তত ১৪ লাখ ফিলিস্তিনি ও তাদের মধ্যে প্রায় ৬ লাখ ৪০ হাজার উপত্যকার ১৫০টি শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। এই শিবিরগুলো পরিচালনা করে আনরোয়া।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস। এরপর থেকে গাজায় অব্যাহত বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। একই সঙ্গে উপত্যকাটি অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এতে বিদ্যুৎ, পানি, খাবার, জ্বালানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে চরম মানবিক সংকটে রয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য ত্রাণসহায়তা পাচ্ছেন তারা।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস
Advertisement
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ৩২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬৬ শতাংশই নারী ও শিশু। একই সময়ে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের অভিযানে ১১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে, হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন।
টিটিএন