যুদ্ধবিরতি ছাড়া ইসরায়েল থেকে জিম্মি করে নিয়ে আসা ব্যক্তিদের মুক্তি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। রাশিয়া সফররত সংগঠনটির শীর্ষ নেতা আবু হামিদ রুশ গণমাধ্যম কমেরসান্তকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
Advertisement
আবু হামিদ বলেন, আমাদের উপদলের কাছে আটক ইসরায়েলিদের খোঁজ পেতে সময় লাগবে। শত শত মানুষকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। ইসরায়েলের প্রধান সামরিক মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, গাজা উপত্যকায় বর্তমানে ২২৯ জনকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজায় এখনই যুদ্ধবিরতি চায় না যুক্তরাষ্ট্র
গত সপ্তাহে দ্বৈত মার্কিন-ইসরায়েলি নাগরিকত্বের দুই বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার পর সোমবার হামাস দুই বয়স্ক ইসরায়েলি নারীকে মুক্তি দিয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম উচ্চ পর্যায়ের আন্তর্জাতিক সফরে গেছে হামাসের একটি প্রতিনিধি দল মস্কো সফর করছে।
Advertisement
এর আগে রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাস জানায়, ইসরায়েল থেকে জিম্মি করা ব্যক্তিদের মুক্তির বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) মস্কোতে হামাসের একটি প্রতিনিধি দল ও রুশ সরকারের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি মুদ্রার মান ১১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
ফিলিস্তিন ইসরায়েল যুদ্ধে গাজাকে সমর্থন দিয়ে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি যুদ্ধের পরিণতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোকে একের পর এক হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। বুধবার নতুন এক সতর্কবার্তায় তিনি বলেন, রক্তক্ষয়ী এ যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের বাইরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে, তাই এটিকে থামাতেই হবে।
‘কিছু মানুষের অপরাধের জন্য নিরীহ নারী-শিশু ও বৃদ্ধদের হত্যা করা মোটেই মেনে নেওয়া যায় না। গাজায় ইসরায়েলি হামলা চলতে থাকলে পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হতে পারে ও তার পরিণতি ধ্বংসাত্মক হতে পারে।
Advertisement
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় ৪৮০ ফিলিস্তিনি নিহত
তিন সপ্তাহ ধরে গাজায় ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। গত ৭ অক্টোবর থেকে চলমান ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত সাড়ে ৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে দাবি গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা প্রায় ২ হাজার ৭০০। আর আহত ১৭ হাজারের বেশি মানুষ।
সূত্র: আল জাজিরা
এসএএইচ