চলতি অর্থ বছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রতিবেশী ৯ দেশে সমন্বিতভাবে পাকিস্তানের রপ্তানি বেড়েছে ৩ শতাংশ। এটি সম্ভব হয়েছে চীনে রপ্তানি বাড়ার কারণে। তবে দেশটির রপ্তানি চীন-আফগানিস্তানে বাড়লেও কমেছে ভারত, বাংলাদেশ ও নেপালে। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যানে এমন তথ্য ফুটে উঠেছে।
Advertisement
জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে আফগানিস্তান, চীন, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ভারত, ইরান, নেপাল, ভুটান ও মালদ্বীপে পাকিস্তানের মোট রপ্তানি বেড়ে ৯৮১ দশমিক ৩৯ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন>চীনে চলছে আমদানি-রপ্তানি মেলা, বেড়েছে বিদেশিদের ভিড়
যদিও আগের অর্থাৎ ২০২৩ অর্থবছরে আঞ্চলিক এই দেশগুলোতে পাকিস্তানের রপ্তানি বার্ষিকভিত্তিতে ২১ দশমিক ১ শতাংশ কমে ৩ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছিল।
Advertisement
পাকিস্তানের আঞ্চলিক রপ্তানির ৬০ শতাংশই যায় চীনে। বাকি ৪০ শতাংশ যায় অন্য আট দেশে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে চীনে দেশটির রপ্তানি ২৮ শতাংশ বেড়ে ৬৩৩ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়। একই সঙ্গে আফগানিস্তানে পাকিস্তানের রপ্তানি বেড়েছে এক শতাংশ।
আরও পড়ুন>ইসরায়েলের পক্ষে গোয়েন্দাগিরি, কাতারে ৮ ভারতীয়র মৃত্যুদণ্ড
তবে ভারতের সঙ্গে দেশটির রপ্তানি কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। এসময় দেশটি ভারতে মাত্র শূন্য দশমিক শূন্য ৪৪ ডলারে পণ্য রপ্তানি করেছে।
Advertisement
অন্যদিকে বাংলাদেশে রপ্তানি কমেছে ৩৮ শতাংশ। জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে আমদানি করেছে ১৪৪ দশমিক ৫০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। ২০২২ সালের একই সময়ে আমদানির পরিমাণ ছিল ২৩৪ দশমিক ১৪ মিলিয়ন ডলার। একই প্রবণতা দেখা গেছে নেপালের ক্ষেত্রেও। দেশটিতে পাকিস্তানের রপ্তানি কমেছে ১১ শতাংশের বেশি।
সূত্র: ডন
এমএসএম