জাতীয়

ভেতরে ঢুকছে আইএসপির কর্মীরা, বিকল্প উপায়ে ইন্টারনেট সচলের চেষ্টা

রাজধানীর মহাখালীতে খাজা টাওয়ারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের ভেতরে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের দুই থেকে পাঁচজন কর্মীকে ভেতরে প্রবেশের সুযোগ দিচ্ছে ফায়ার সার্ভিস।

তারা ভবন থেকে ইন্টারনেট সংযোগে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতির মধ্যে যেগুলো অক্ষত রয়েছে, সেগুলো বাইরে বের করে নিচ্ছেন। আশপাশের ভবনগুলোতে অস্থায়ী ডাটা সেন্টার বসিয়ে বিকল্প উপায়ে জরুরি ইন্টারনেট সেবা সচল রাখার চেষ্টা করছেন।

রেস অনলাইনের গুলশান জোনের হেড অব নেটওয়ার্ক মুজাহিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের প্রায় ৪৫ শতাংশ ইন্টারনেট সার্ভিস ডাউন। কাল রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর থেকে আমরা ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছিলাম। সকাল ১০টার দিকে আমাদের অনুমতি দেওয়া হয়।

Advertisement

তিনি বলেন, আমাদের কয়েকজন প্রতিনিধি ভেতরে ঢুকেছেন। তারা সেখানে থাকা জিজিসি নোট, এপেন এ, জুনিফার রাউটারসহ ইন্টারনেট সেবা দিতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বাইরে বের করে নিয়ে আসছেন। পাশেই আমাদের আরেকটি অস্থায়ী ডাটা সেন্টার রয়েছে। সেখানে এগুলো বসিয়ে বিকল্প উপায়ে সার্ভিস সচল রাখার চেষ্টা করছি আমরা।

ফাইবার এট হোমের অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেনেন্স ডিরেক্টর খাইরুল ইসলাম বলেন, সেফটির কারণে ডাটা সেন্টার সেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও নিচতলা থেকে ওপরে ওঠানো ক্যাবল পুড়ে গেছে। এ ভবনে যন্ত্রপাতি রেখে আপাতত কাজ করা সম্ভব নয়। সার্ভিস ঠিক রাখতে এজন্য আমরা যন্ত্রপাতি বের করে নিচ্ছি। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। তারপরও যে ক্ষতি হয়েছে, ইন্টারনেটের স্বাভাবিক গতি ফেরাতে বেশ সময় লাগবে।

এদিকে, খাজা টাওয়ার এখনো ফায়ার সার্ভিস ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ন্ত্রণে। ভবনের ভেতরে বিভিন্ন বিষয় পর্যবেক্ষণ করছেন তারা। জরুরি সেবা বিবেচনায় শুধুমাত্র ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি এমদাদুল হক জাগো নিউজকে বলেন, এনআরবি ডাটা সেন্টারটি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে হাই-সেফটির কারণে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি সচল রয়েছে। এগুলো বের করে অস্থায়ী ডাটা সেন্টারে বসাতে পারলে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হবে। ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাতে বেশ সময় লাগবে।

Advertisement

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে আগুন লাগে ভবনটিতে। বিকেল ৪টা ৫৯ মিনিটে খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। শুরুতে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট। পরে ধাপে ধাপে আরও ৯টি ইউনিট যোগ দেয় সেখানে। সন্ধ্যা ৬টা ১০মিনিটে তাদের সহায়তায় যোগ দেয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী।

এ ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে।

এএএইচ/এমএইচআর/এএসএম