রাজধানীর মহাখালীতে খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। গ্রামীণফোনের নম্বর থেকে অন্য অপারেটরের নম্বরে কল করতে সমস্যার মুখে পড়ছেন গ্রাহকরা। এছাড়া সার্ভার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রাজধানীর অধিকাংশ এলাকায় ইন্টারনেট সেবাও বন্ধ হয়ে গেছে।
Advertisement
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক জাগো নিউজকে বলেন, ‘খাজা টাওয়ারের ট্রান্সমিশনে দুটি ডাটা সেন্টার রয়েছে। টাওয়ারে আগুনের কারণে অন্তত ৪০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। আরও অনেক সেবাদাতার সেবা বন্ধের মুখে।’
আরও পড়ুন: খাজা টাওয়ারে আগুন: ভবন থেকে পড়ে নারীর মৃত্যু
ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবসায়ী হিমেল বলেন, আগুন লাগার পরপরই কাস্টমারদের ফোন পাচ্ছিলাম। খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম খাজা টাওয়ারে আগুন লেগেছে। খাজা টাওয়ারে ঢাকার ৯০ শতাংশ ইন্টারনেট সংযোগের ডাটা সার্ভার। সেখানে আগুনের কারণে সবার সার্ভিস বন্ধ হয়ে গেছে।
Advertisement
এদিকে, গ্রামীণফোনের অফিসিয়াল ফেসবুকে পেজে দেওয়া এক বার্তায় জানানো হয়, মহাখালীতে খাজা টাওয়ারে আগুনের কারণে কারিগরি বিপর্যয়ে কিছু গ্রাহকের গ্রামীণফোন নম্বর থেকে অন্য অপারেটরে ভয়েস কল দিতে সাময়িক অসুবিধা হতে পারে। আমাদের টিম দ্রুততার সঙ্গে সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছে। সাময়িক এ অসুবিধার জন্য অপারেটরটি দুঃখ প্রকাশ করেছে।
আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক জানান, আগুনে খাজা টাওয়ারে থাকা এনআরবি নামে একটি ডাটা সেন্টার পুড়ে গেছে। কয়েকটি আইআইজি (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে) শাটডাউন করেছে। এতে শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশে ইন্টারনেটে ধীরগতি হচ্ছে। ঢাকা কোলা নামের আরেকটি ডাটা সেন্টার ঝুঁকির মুখে রয়েছে। ওটা পুড়ে গেলে বড় ধরনের ক্ষতি হবে।
আরও পড়ুন: ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন খাজা টাওয়ার: উদ্ধার ৫, আটকা অনেকে
তিনি আরও জানান, খাজা সেন্টারে লেভেল থ্রি, ম্যাক্স হাব, আমরা নেটওয়ার্ক, আর্থনেট ও উইনস্ট্রিম আইআইজিও পুড়ে গেছে। ফলে আমরা এরই মধ্যে ৭০-৮০ শতাংশ ব্যান্ডউইথ হারিয়েছি। কবে নাগাদ ইন্টারনেটের এ গতি ফিরবে, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।
Advertisement
এএএইচ/এমকেআর/জেআইএম