হঠাৎ আকাশ থেকে বৃষ্টির মতো পড়ছে লাখ লাখ টাকা। আর সেগুলো কুড়াতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে হাজার হাজার মানুষ। যে যেভাবে পারছে, টাকা কুড়াচ্ছে। শুনতে খুব অবাক লাগছে, তাই না? হ্যাঁ, অবিশ্বাস্য হলেও সম্প্রতি ইউরোপের দেশ চেক প্রজাতন্ত্রের লিসা নাদ লাবেম শহরে আসলেই এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
Advertisement
দেশটির ইনফ্লুয়েন্সার ও টিভি উপস্থাপক কামিল বারতোশেক ওরফে কাজমার উদ্যোগে হেলিকপ্টার থেকে ছড়ানো হয় ১০ লাখ ডলার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, এক ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে প্রায় চার হাজার মানুষ হেলিকপ্টার থেকে ছড়ানো সব ডলার সংগ্রহ করে।
আরও পড়ুন: নতুন ‘মুদ্রা’ হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে পেঁয়াজ
কাজমা জানান, তার পরিকল্পনা ছিল ভিন্ন। নিজের অভিনীত সিনেমা ‘ওয়ানম্যানশো: দ্য মুভি’ থেকে একটি লুকনো বার্তা খুঁজে বের করতে বলেন তিনি। প্রথমে তিনি এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ব্যক্তিকে ১০ লাখ ডলারের পুরোটা দিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন।
Advertisement
A post shared by Kazma Kazmitch (@kazma_kazmitch)
কিন্তু অনেক চেষ্টার পরও কেউ ওই গোপন বার্তা খুঁজে না পাওয়ায় বিকল্প পথে হাটেন কাজমা। সিদ্ধান্ত নেন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া সবা মধ্যে ওই অর্থ ভাগ করে দেবেন। আর সে জন্য রোববার (২২ অক্টোবর) সকালে তিনি প্রতিযোগিতায় মেইলের মাধ্যমে নিবন্ধনকারীদের ডলার বৃষ্টির অবস্থান জানিয়ে দেন। এ ক্ষেত্রেও কাজমা সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করেন।
আরও পড়ুন: প্রেমিকার কামড়ে ‘আদরের চিহ্ন’, ট্যাটু এঁকে স্থায়ী বানালেন প্রেমিক
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে, নির্ধারিত জায়গায় হেলিকপ্টার ও ১০ লাখ ডলারের নোট নিয়ে হাজির হন কাজমা। এই ব্যতিক্রমী কর্মের ভিডিও তৈরি করেন। সেটি আবার নিজের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন তিনি। ইনস্টাগ্রাম পোস্টের শিরোনামে লেখেন, পৃথিবীর প্রথম ‘ডলার বৃষ্টি’।
Advertisement
আকাশ থেকে যখন ডলার নিচে পড়তে শুরু করে, তখন হাজারো মানুষ নিকটবর্তী মাঠে জমায়েত হয়ে সেগুলো সংগ্রহ করতে শুরু করেন। অনেকে আবার হাজির হয়েছেন প্লাস্টিকের ব্যাগ নিয়ে। মুঠি ভরে কুড়ানো ডলার ওই ব্যাগের মধ্যে রাখছেন তারা।
আরও পড়ুন: কোটি টাকার লটারি জিতে প্রথমেই কিনলেন স্ত্রীর জন্য ফুল
অনলাইন ভিডিওতে দেখা গেছে, মানুষ মাঠে দৌড়াদৌড়ি করছে ও বিভিন্ন জায়গা থেকে যত বেশি সম্ভব ডলার কুড়িয়ে নিচ্ছে। কেউ কেউ আবার আবার উল্টো করে ছাতা ধরেও ডলার সংগ্রহ করছেন। এক ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হয় ডলার সংগ্রহের প্রতিযোগিতা।
কাজমা জানান, চার হাজার মানুষ অন্তত একটি হলেও এক ডলারের নোট সংগ্রহ করতে পেরেছে। প্রতিটি ডলারের সঙ্গে একটি করে কিউআর কোড যুক্ত ছিল, যার মাধ্যমে বিজেতারা চাইলে ওই অর্থ দাতব্য সংস্থায় দিতে পারবেন।
সূত্র: এনডিটিভি
এসএএইচ